AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Madan Mitra: সাগরদত্তে রোগীমৃত্যুতে দালালচক্রের অভিযোগ পেয়ে খোদ হাসপাতালে মদন

Madan Mitra: রোগীর পরিবারের অভিযোগ, টাকা না দেওয়ায় হুমকি পর্যন্ত দেন ওই দালাল। রোগীর পরিবারের ফোন পেয়ে তৎক্ষণাৎ সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র।

Madan Mitra: সাগরদত্তে রোগীমৃত্যুতে দালালচক্রের অভিযোগ পেয়ে খোদ হাসপাতালে মদন
হাসপাতালে মদন মিত্রImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Sep 23, 2023 | 9:00 AM
Share

উত্তর ২৪ পরগনা: সরকারি হাসপাতালে সক্রিয় দালাল চক্র! আর তার ফাঁদে পড়ে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ। খবর পেয়ে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেদ হাসপাতালে পৌঁছন স্থানীয় বিধায়ক মদন মিত্র। হাসপাতালে দাঁড়িয়েই দালালদের হুঁশিয়ারি দেন বিধায়ক। তিনিই সাফ অভিযোগ করলেন, “প্রত্যেকদিন রাতে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রক্ত বিক্রি হয়। এই র‌্যাকেটের পিছনে কারা রয়েছে, সেটা বার করার জন্য প্রশাসন ও পুলিশের কাছে বলব। অভিযুক্ত দালালের পরিচয় আমরা ৯০ শতাংশ পেয়ে গিয়েছি।” মদন মিত্র হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়েই রীতিমতো হুঁশিয়ারি দেন, “আমি কথা দিলাম, এটাই সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজের শেষ দালালরাজ। এরপর যদি আর একটা দালালকে ধরতে পারি, প্রথমেই আমার এলাকার মানুষকে বলব, গায়ে হাত দেবেন না। মারবেন না। শুধু পুলিশে দেওয়ার আগে একবার আমাদের হাতে দেবেন।”

প্রসঙ্গত, বার্ধক্যজনিত রোগ নিয়ে শুক্রবার রাতে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন স্থানীয় বাসিন্দা রমেশ হালদার। তাঁকে আইসিইউ-তে ভর্তির প্রয়োজন ছিল। মৃত রমেশ হালদারের পরিবারের অভিযোগ, মুকিম খান নামে এক দালাল আইসিসিউতে ভর্তির জন্য ৬ হাজার টাকা দাবি করেন। দীর্ঘসময় টালবাহানা করতে করতে রোগীর মৃত্যু হয়। রাতেই রমেশের ছেলে বিধায়ককে ফোনে বিস্তারিত সবটা জানান। খবর পেয়েই হাসপাতালে পৌঁছন বিধায়ক।

রোগীর পরিবারের অভিযোগ, টাকা না দেওয়ায় হুমকি পর্যন্ত দেন ওই দালাল। রোগীর পরিবারের ফোন পেয়ে তৎক্ষণাৎ সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। মদন মিত্র হাসপাতালে দাঁড়িয়ে দালালচক্রকে হুঁশিয়ারি দেন।

প্রসঙ্গত, অন্যান্য রোগীদের পরিজনরাও অভিযোগ করেন, দালালরাজের রমরমা ব্যবসা চলছে সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। রোগীর পরিবারকে রাতে ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে রক্ত কিনতে হচ্ছে ১৭০০ টাকা দিয়ে। কলকাতার আরজি কর ও পিজি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া চাওয়া হচ্ছে ৪০০০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্তও। হাসপাতালে ভর্তির জন্য চাওয়া হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা।

প্রশ্ন উঠছে, দালালদের এত বাড়বাড়ন্তের পিছনে কার হাত রয়েছে? বিধায়কের কথায়, “সেটাই এখন দেখে নেওয়ার সময় এসেছে।”