Baguiati Murder: বাগুইআটি জোড়া খুনে রাজসাক্ষী মূল অভিযুক্ত, আবেদন মঞ্জুর করল আদালত

Baguiati Murder: প্রসঙ্গত, ঘটনার সূত্রপাত গত বছরের ২২ অগস্ট। বাগুইআটি এলাকার অতনু দে ও অভিষেক নস্কর নামে দুই নাবালককে কিডন্যাপ করে গাড়ির মধ্যে খুন করার অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।

Baguiati Murder: বাগুইআটি জোড়া খুনে রাজসাক্ষী মূল অভিযুক্ত, আবেদন মঞ্জুর করল আদালত
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 31, 2023 | 4:49 PM

বাগুইআটি : বাগুইআটি জোড়া খুনের (Baguiati Murder) মামলায় এদিন বারাসাত আদালতে চার্জ ফ্রেম করা হল। একইসঙ্গে এই মামলায় ৬ জন অভিযুক্তর মধ্যে থাকা দিব্যেন্দু দাস রাজসাক্ষী হওয়ার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেছিলেন। এদিন সেই আবেদনও মঞ্জুর করে আদালত। আগামী ২৭ এপ্রিল তাঁর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। এই সময় পর্যন্ত মূল অভিযুক্তদের থেকে দিব্যেন্দুকে আলাদা করে অন্য কারাগারে রাখার ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজসাক্ষী হওয়ার সময় যদি সব কিছু ঠিকঠাক থাকে, তা হলে জামিনের আবেদন করতে পারবেন দিব্যেন্দুর আইনজীবী, এমনটাও জানিয়েছে আদালত।

প্রসঙ্গত, ঘটনার সূত্রপাত গত বছরের ২২ অগস্ট। বাগুইআটি এলাকার অতনু দে ও অভিষেক নস্কর নামে দুই নাবালককে কিডন্যাপ করে গাড়ির মধ্যে খুন করার অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বসিরহাটের হাড়োয়া থানার কুলটি ও ন্যাজাট থানার শিরীষতলা এলাকায় দেহ ফেলে দেওয়া হয়।  অজ্ঞাতপরিচয় দেহ মিলেছে, এই তথ্য পাঠানো হয়েছিল সব থানায়। সূত্রের খবর, ২৩ অগস্ট সেই মেসেজ পায় বাগুইআটি থানাও। কিন্তু, তা নিয়ে তদন্ত বেশি না এগনোতে বাড়তে থাকে উদ্বেগ।

এদিকে দুই ছাত্রের পরিবার নিখোঁজ ডায়েরি করে ২৪ অগস্ট। জানানো হয়, ২২ অগস্ট থেকে তাঁদের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এ ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে। বাগুইআটি থানার পিএসআই দুটি অজ্ঞাত পরিচয় দেহ পাওয়ার কথা আইসি ও আইও-কে জানাননি বলে অভিযোগ ওঠে। বাগুইআটি থানার ওসিকে কল্লোল ঘোষকে ক্লোজ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়। তদন্তে নামে সিআইডি। অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী এবং দিব্যেন্দু ছাড়াও গ্রেফতার করা হয় রবিউল মোল্লা, অভিজিৎ বসু, শামিম আলি, সাহিল মোল্লা নামে আরও চার জন। ধৃতেদর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৩, ৩৬৪এ, ৩০২, ৪০৪, ২০১, ১২০বি, ৩৪ ধারায় চার্জ গঠন করা হয়েছে। এরইমধ্যে রাজসাক্ষী হতে চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করেছিলেন ঘটনার মূলচক্রী হিসাবে অভিযুক্ত দিব্যেন্দু দাস। আইনজীবীরা মনে করছেন দিব্যেন্দু দাস রাজসাক্ষী হয়ে যাওয়ায় গোটা মামলাই আরও সহজ করে দিল।