Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Awas Yojona: ‘একদিনের মধ্যে বাদ পড়া নাম তালিকায় তুলতে হবে’, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে শাসানোর অভিযোগ প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে

North 24 Parganas: যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই প্রধানের স্বামী।

Awas Yojona: 'একদিনের মধ্যে বাদ পড়া নাম তালিকায় তুলতে হবে', অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে শাসানোর অভিযোগ প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে
প্রধানের স্বামী সজল রায়।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 15, 2022 | 11:30 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: আবাস যোজনার তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে নাম। অভিযোগ, সেই রাগে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে গিয়ে শাসিয়ে এসেছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী। এই নিয়ে বাগদা গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার নেতাজি পল্লির ওই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী বাগদা আইসিডিএস-সিডিপিওর কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। বৃহস্পতিবার বিকেলে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। ওই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর অভিযোগ, এদিন স্কুল চলাকালীন বাগদা গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান অঞ্জলি রায়ের স্বামী সজল রায় আসেন। আবাস যোজনার তালিকা থেকে নাম বাদ যাওয়া কয়েকজন মহিলাকে নিয়ে স্কুলে এসে চড়াও হন বলে অভিযোগ ওই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর। অভিযোগকারীর বক্তব্য, প্রধানের স্বামী জানতে চান, আবাস যোজনার তালিকা থেকে কেন নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, সজয় রায় শাসিয়ে যান, বাদ পড়া নাম একদিনের মধ্যে আবার তালিকাভূক্ত করতে হবে। তা না হলে স্কুল ঘেরাও হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন বলে অভিযোগ ওই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর। যদিও সজল রায় এই অভিযোগ মানতে নারাজ।

বাগদা গ্রামপঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী সজল রায় জানান, সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করছেন ওই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। তালিকা থেকে বাদ যাওয়া মহিলারা ওই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর কাছে তালিকা থেকে নাম বাদের কারণ জানতে চান। পরে ওই মহিলারাই তাঁকে ডেকে নিয়ে যান বলে দাবি করেন সজল রায়।

অভিযোগকারী অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী বলেন,”আমি স্কুলে গিয়েছি। সজল রায় বেশ কয়েকজন মহিলা নিয়ে এসে আমাকে হুমকি দেন। কেন পাকা বাড়ি দেখিয়েছি, তাই গালিগালাজ করে। মারার হুমকি দেয়। বলেছে, তালিকা থেকে বাদ যাওয়া নাম না তুললে আমাকে স্কুলে যেতে দেবে না, স্কুল ঘেরাও করবে। আমি খুবই আতঙ্কে আছি। আমি তো পাকা বাড়ি পাকা বলেছি, তার জন্য এসব করছে। বলছে, পাকা বাড়ি তো বাবার বাড়ি, ছেলের বাড়ি তো নয়।”

সজল রায় বলেন, “কাঁচা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও যাঁদের নাম বাদ গিয়েছে তালিকা থেকে, তাঁরাই এসেছিলেন। আমি জানাই, এই সমীক্ষার কাজ আমরা করছি না। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা করেছেন, তাঁদের কাছে যাও। ওরা গেলে কাজ হয়নি। ফের আমাকে এসে বলে। তখন আমি গিয়ে বললাম, তুমি এরকম কাঁচা বাড়ির মানুষগুলোর নাম কেটে দিলে? আমি বলেছি, বাদ দিয়ে থাকলে আজও তো সময় আছে, দেখে তুলে দিও। হুমকি, ধমকির কোনও প্রশ্নই নেই।”