Barasat Blast: ‘টাকা খেয়ে চুপ থেকেছে, পুলিশ ফাঁড়ি তো এটিএম’, বিস্ফোরণের পরেই গর্জে উঠছে নীলগঞ্জ
Barasat Blast: বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে একটি পাকা বাড়ি কার্যত গুড়ো গুড়ো হয়ে মাটির সঙ্গে মিশে যায়। আশেপাশের একাধিক বাড়িও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
দত্তপুকুর: এগরার ভয়াবহতা ফিরেছে দত্তপুকুরে (Duttapukur Bomb Blast)। সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ বেআইনি বাজি কারখানায় তীব্র বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে বারাসতের দত্তপুকুরের নীলগঞ্জ। কমপক্ষে ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। ঘটনায় পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁদের মূল অভিযোগের তির দত্ত পুকুর থানার আইসির বিরুদ্ধে। তাঁদের দাবি, তাঁর মদতেই অবাধে দুনম্বরি বাজি কারখানা চলছে গোটা এলাকায়। অনেক বাড়িতেই বেআইনি মজুত রাখা হয়েছে প্রচুর বাজি। স্থানীয়দের দাবি, দীর্ঘদিন থেকেই পরিস্থিতির কথা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কিন্তু, কেউ কোনও ব্যবস্থা নেননি।
এদিকে এদিন বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে একটি পাকা বাড়ি কার্যত গুড়ো গুড়ো হয়ে মাটির সঙ্গে মিশে যায়। আশেপাশের একাধিক বাড়িও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় পাশের বাড়ির একটি টালির চালেও আটকে যায় এক ব্যক্তির দেহ। পাড়ার একটি পেয়ারা গাছেও আটকে যায় দেহ। ইতিমধ্যেই সেই দেহ নামানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ব্যাপক উত্তেজনা গোটা এলাকায়। বিক্ষোভ ঠেকাতে মাঠে নেমেছে ব়্যাফ। এদিকে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বারবার অভিযোগ করছেন পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার দিকে। এক স্থানীয় বাসিন্দা তো বলছেন, “নীলগঞ্জের ফাঁড়ি তো এটিএমে পরিণত হয়েছে। পুলিশই টাকা খেয়ে বেআইনি ব্যবসায় সাহায্য করে যাচ্ছে। সব দেখেও হাত গুটিয়ে বসে রয়েছেন পুলিশ কর্তারা।” যদি এ সমস্ত অভিযোগ শুনেও পুলিশের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা এও জানাচ্ছেন এখনও অনেক বাড়িতেই মজুত রয়েছে প্রচুর বাজি। কিন্তু, সেগুলিকে উদ্ধারের কোনও প্রচেষ্টা করছে না পুলিশ। তাতেই আরও বাড়ছে ক্ষোভ। এদিকে ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৭ থেকে ৮ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করেছেন স্থানীয়রা।