Recruitment Scam:‘কানু দা’, ‘তপন দা’, ‘লাল’, ‘এমডি’- এরাই কি পুর-দুর্নীতির ‘মধ্যমণি’!

Recruitment Scam: এজেন্ট কানু দা'র ৯৬ জন প্রার্থীর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ওই চাকরিপ্রার্থীদের রোল নম্বর, পদ, পুরসভা-বিভাগ-সহ বিস্তারিত বিবরণ এজেন্ট 'কানু দা' পাঠিয়েছিলেন। তালিকাতে গোটা বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে।

Recruitment Scam:‘কানু দা’, ‘তপন দা’, ‘লাল’, ‘এমডি’- এরাই কি পুর-দুর্নীতির ‘মধ্যমণি’!
বাঁ দিকে এজেন্ট কানু দা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 21, 2023 | 3:51 PM

কলকাতা: কেবলমাত্র শিক্ষাক্ষেত্রে নয়, পুরসভার চাকরিতেও হয়েছে দুর্নীতি। বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলের অফিস থেকেই উদ্ধার হয়েছে চাকরি বিক্রির নথি। উঠে এসেছে একাধিক মিডলম্যানের নাম। বেশ কয়েকজন এজেন্টের নামের তালিকাও পাওয়া গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। এরকমই নাম হল ‘কানু দা’, ‘লাল’, ‘এমডি’, ‘তপন দা’। জানা যাচ্ছে, এই এজেন্টদের নামে টাকার বিনিময়ে পুরসভায় চাকরি দেওয়া হয়েছিল। অন্তত তেমনটাই অনুমান করছেন তদন্তকারীরা। প্রত্যেক এজেন্টের ক’জন চাকরিপ্রার্থী, তা যেমন উল্লেখ করা হয়েছে, তেমনই টাকার লেনদেন নগদে নাকি ব্যাঙ্কে হয়েছে, তারও বিবরণ রয়েছে অয়নের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া ওই নথিতে।

সেই তালিকা অনুযায়ী, এজেন্ট কানু দা’র ৯৬ জন প্রার্থীর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ওই চাকরিপ্রার্থীদের রোল নম্বর, পদ, পুরসভা-বিভাগ-সহ বিস্তারিত বিবরণ এজেন্ট ‘কানু দা’ পাঠিয়েছিলেন। তালিকাতে গোটা বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। এরকম ভাবে আরও বেশ কয়েকজন এজেন্টের নাম রয়েছে। এজেন্ট ‘লাল’-এর প্রার্থীর সংখ্যা ৬৮। তাতে এও উল্লেখ রয়েছে, নগদে লেনদেন হয়েছে। তালিকায় এজেন্ট হিসাবে নাম ‘এমডি’র। তাঁর নামের পাশে ৪৩ জন প্রার্থীর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে নগদে লেনদেন হয়েছে। এজেন্ট ‘তপন দা’, তাঁর ক্ষেত্রেও প্রার্থীর সংখ্যা ১৫। ‘তপন দা’র ক্ষেত্রেও লেনদেন হয়েছে নগদে। অয়নের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া তালিকা অন্তত তাই বলছে।

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলকে ইডি আধিকারিকরা দীর্ঘক্ষণ জেরা করার পর জানতে পারেন বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের উত্তর দমদম,দক্ষিণ দমদম, বরানগর, কামারহাটি, পানিহাটি ও হালিশহর পৌরসভায় অর্থের বিনিময়ে চাকরি বিক্রি করা হয়েছিল। তদন্তেই জানা যায়, পানিহাটি পৌরসভার পক্ষ থেকে ২০১৬ সালে ‘কানু দা’ নামে একজন ৯৬ পাতার চাকরিপ্রার্থী তালিকার খসড়া পাঠিয়েছিলেন। ‘কানু দা’আসলে কে? তাঁর খোঁজ করতে TV9 বাংলা যায় পানিহাটিতে। ঘোলা পূর্বাঞ্চল এলাকায় কানুদা ওরফে কানাইলাল দের বাড়ি। এই ব্যক্তি পানিহাটি পৌরসভার ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টে কাজ করতেন। ২০২০ সালে অবসর নেন পানিহাটি পৌরসভা থেকে।

কানাইলালকে প্রশ্ন করা হলে বলেন, “আমি কাজ করতাম। ১৯৯৯ সালে অপারেশন হয়। তারপর অফিসে কাজ করতাম। আমি কোনওরকমভাবে এসবের সঙ্গে যুক্ত নই। আমি কারোর থেকে পাঁচ পয়সার ভাত খাইনি। উল্টে দু’কাপ চা খাইয়েছি। আমার কিছু বলার নেই।” বাকি এজেন্টদের নামও তাঁর কাছে করা হয়। তিনি কাউকেই চেনেন না বলে দাবি করেছেন।