Mohan Bhagwat: মোহনের মুখে মহাত্মার কথা, ভগবত বললেন, দেশ তৈরি হবে নেতাজির ভাবনাতেই
Mohan Bhagwat: মোহন রোমন্থন করেছেন সেই ইতিহাস। যে সময় কংগ্রেস ছাড়েন সুভাষ। বরাবরই মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে সুভাষচন্দ্র বসুর মতভেদের কারণ ছিল মতাদর্শগত। মুলত গান্ধজী ছিলেন দক্ষিণপন্থী এবং নরমপন্থী স্বভাবের মানুষ। আর নেতাজী একদম বিপরীত। তিনি ছিলেন বামপন্থী মতাদর্শে বিশ্বাসী, চরমপন্থী নেতা। ফলে মতাদর্শগত পার্থক্য ছিল উভয়ের মধ্যে।
বারাসত: অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনের পরের দিনই কলকাতায় আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম-জয়ন্তীতে বারাসতে জনসভা করেন তিনি। আর গতকালের এই জনসভা থেকে আরএসএস প্রধানের মুখে একদিকে যেমন উঠে এল মহাত্মা গান্ধীর কথা। তেমনই তিনি তুলে ধরলেন নেতাজীর চিন্তাভাবনা।
‘পরাজিত হয়েও দ্বিতীয়বার লড়াই করার ভাবনা’
দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতাজীর ভূমিকা নিয়ে আলাদা ভাবে কিছু বলা মানে ধৃষ্টতা দেখানো। ভারতের নতুনভাবে উত্থানের পিছনে এই দেশ নায়কের যে ভূমিকা রয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। দেশবাসীর মধ্যে নতুন চিন্তনের প্রবেশ করেছেন তিনি। মোহন ভগবত বলেছেন, “আমাদের দেশে সেই সময় জন সংখ্যা কম ছিল না। সংখ্যায় কম ছিলেন ইংরেজরা। কিন্তু তারপরও ওরা দখল করেছিল এ দেশের মাটি। নেতাজীকে ভাবিয়েছিল এরপরও কীভাবে আমাদের দেশ হেরে যায়?”
‘গান্ধীজি-নেতাজীর স্বভাব ছিল আলাদা’
মোহন রোমন্থন করেছেন সেই ইতিহাস। যে সময় কংগ্রেস ছাড়েন সুভাষ। বরাবরই মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে সুভাষচন্দ্র বসুর মতভেদের কারণ ছিল মতাদর্শগত। মুলত গান্ধজী ছিলেন দক্ষিণপন্থী এবং নরমপন্থী স্বভাবের মানুষ। আর নেতাজী একদম বিপরীত। তিনি ছিলেন বামপন্থী মতাদর্শে বিশ্বাসী, চরমপন্থী নেতা। ফলে মতাদর্শগত পার্থক্য ছিল উভয়ের মধ্যে। এমনকী কংগ্রেসের সভাপতির পদ ত্যাগ করেন। এই প্রেক্ষিতেই মোহন বলেছেন, উভয়ের মধ্যে মতভেদ ব্যক্তিগত স্তরে থাকলেও, কখনও নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করেননি। আরএসএস প্রধান বলেন, “এত মতামত থাকার পরও তিনি নিরবে পদ ছেড়ে গিয়েছিলেন।”