Sougata Roy: ‘পুলিশের নীচু তলার একাংশের অবহেলা ছিল’, দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে মমতার দফতরকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন সৌগত

Sougata Roy: দত্তপুকুরের বাজি কারখানার বিস্ফোরণের অভিঘাত এতটাই ছিল, যে গোটা বাংলার পরিস্থিতি তেঁতে উঠেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছতেই স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ উগরে পড়ে তাঁদের ওপর।

Sougata Roy: 'পুলিশের নীচু তলার একাংশের অবহেলা ছিল', দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে মমতার দফতরকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন সৌগত
এবার বিস্ফোরক সৌগত রায়Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 01, 2023 | 11:22 AM

কলকাতা: দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে প্রথম থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অর্জুন সিংয়ের পর এবার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বললেন, “পুলিশের একাংশের অবহেলা ছিল। পুলিশকে আরও কড়া পদক্ষেপ করতে হবে।” খড়দহের একটি দলীয় সভায় অংশ নিয়েছিলেন সাংসদ। সেখান থেকেই বিস্ফোরক উক্তি করেন।

দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা একাধিক অভিযোগ করছেন। এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয় সৌগত রায়কে। তিনি বলেন, “দত্তপুকুরের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। পুলিশের তলার স্তরে নিশ্চয়ই কোনও অবহেলা ছিল। আমরা আশা করি এরপর আর এরকম হবে না। পুলিশ আরও সক্রিয় হবে।” তিনি আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন, যা বেআইনি বাজি কারখানা রয়েছে, তোমরা বার করো। তারপরও কীভাবে এত বড় বাজি কারখানা থেকে গেল? সেখানকার থানার আইসি ও ওসিকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। পুলিশকে আরও কড়া ব্যবস্থা করতে হবে।”

দত্তপুকুরের বাজি কারখানার বিস্ফোরণের অভিঘাত এতটাই ছিল, যে গোটা বাংলার পরিস্থিতি তেতে উঠেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছতেই স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ উগরে পড়ে তাদের ওপর। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ অভিযোগ করেছিলেন, পুলিশ সব জেনেও চুপ ছিল। এমনকি প্রথমে এলাকার যে সব যুবক বেআইনি বাজি কারখানার প্রতিবাদ করেছিলেন, পুলিশ তাঁদেরকেই মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে গ্রেফতার করেছিল। মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খোদ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ” কেউ কেউ বেআইনি কাজ করছেন এবং পুলিশ সেটা চোখ বুজে দেখছে। লোকাল থানায় যাঁরা দায়িত্বে আছেন তাঁরা মাক্সিমাম কী করছেন, সেটা আর বললাম না!”  পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অর্জুন সিংও। তিনি বলেন, “পুলিশ কেন নেতাদের কথা শুনবে? তারা চাইলে এক মিনিটে বন্ধ করে দিতে পারে বাজি কারখানা।” ঘটনার পরই সাসপেন্ড করা হয় দত্তপুকুর থানার আইসি ও নীলগঞ্জ ফাঁড়ির ওসি।

এই ঘটনার পরই রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপার ও কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্য পুলিশের এডিজি জাভেদ শামিম। ভার্চুয়ালি বৈঠক করেন। দত্তপুকুরের ঘটনা কার্যত পুলিশের কাছে ‘অ্যালার্মিং’ বলেও চিহ্নিত করেছেন জাভেদ শামিম।