AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Suicide: পরীক্ষা দেওয়ার সময় নেটওয়ার্ক সমস্যা, এটাই অপরাধ! মায়ের শাড়ী গলায় জড়িয়ে আত্মঘাতী ছাত্রী

Online Class: নেটওয়ার্কের সমস্যার জন্য সৃজাকে 'ডিসকোয়ালিফাই' করে দেন শিক্ষক। সেটা মেনে নিতে পারেনি সৃজা।

Suicide: পরীক্ষা দেওয়ার সময় নেটওয়ার্ক সমস্যা, এটাই অপরাধ! মায়ের শাড়ী গলায় জড়িয়ে আত্মঘাতী ছাত্রী
আত্মঘাতী একাদশ শ্রেণির ছাত্রী
| Edited By: | Updated on: Sep 30, 2021 | 11:33 PM
Share

বরানগর: অনলাইন (Online) ক্লাসে নেটওয়ার্ক (Network) ইস্যু কোনও নতুন ঘটনা নয়। অতিমারির (Pandamic) পরিস্থিতিতে শিক্ষা ব্যবস্থা রাতারাতি বদলে যাওয়ার ফলে এ সব সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে প্রায় প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকেই। সেই নেটওয়ার্কের সমস্যার জন্য শিক্ষকের বকুনি খেয়ে মানসিক অবসাদে আত্মঘাতী (Suicide) ১১ বছরের স্কুলছাত্রী। ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী সৃজা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে বেলঘরিয়া এম এম রোডের আবাসনে শোকের ছায়া।

বেলঘরিয়ার এক বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের পড়ুয়া সৃজা। গতকাল বুধবার অনলাইন ক্লাসে সে হেনস্তার শিকার হয় বলে অভিযোগ তার পরিবারের। বাড়িতে বাবা মা’কে ক্লাস শেষের পর নিজের অসহায়তার কথাও জানিয়েছিল সে। তারপর মানসিক অবসাদে দুপুরেই আত্মঘাতী হয় সৃজা। বেলঘরিয়ার ক্লাব টাউন গার্ডেনে এক আবাসনে থাকে সৃজাত পরিবার। সেই ফ্ল্যাটের মধ্যেই ঘটেছে আত্মহত্যার ঘটনা।

মায়ের শাড়ি গলায় জড়িয়ে আত্মহত্যা করে সৃজা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাগর দত্ত হাসপাতালে পাঠায় বেলঘরিয়া থানার পুলিশ।

জানা গিয়েছে, অন্যান্য দিনের মতোই অনলাইনে ক্লাসের যোগ দিয়েছিল সৃজা। কিন্তু ক্লাস চলাকালীন নেটওয়ার্ক জনিত সমস্যার জন্য বারবার কানেকশন চলে যাচ্ছিল। পরীক্ষা চলাকালীন হঠাৎ নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আর এরপরই ক্ষুব্ধ হন শিক্ষিকা। সৃজার তখন পরীক্ষা চলছিল অনলাইনে। ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার ফলে ঠিকমতো পরীক্ষা দিতে পারছিল না সৃজা। শিক্ষিকা তখন সৃজাকে ‘ডিসকোয়ালিফাই’ করে দেন। আর সেটাই মন থেকে মেনে নিতে পারেনি সৃজা। এর ফলে মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে যায় সে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেলঘরিয়ার এম এম রোডের আবাসনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। করোনাকালে বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা অনলাইনে পড়াশোনা করছে। পরীক্ষাও এভাবেই নেচওয়া হচ্ছে। এই ঘটনার পরে অনলাইন সিস্টেমটাকেই সৃজার মৃত্যুর জন্য দায়ী করলেন সৃজার বাবা। তাঁর পরিবারের লোকজনেরও একই অভিযোগ।

আরও পড়ুন: West Bengal Flood: রেকর্ড পরিমাণ জল ছাড়ছে DVC, বন্যা পরিস্থিতি সামলাতে সেনা নামাচ্ছে নবান্ন

সৃজার বাবার বলেন, ‘আমাদের নেটভিত্তিক পড়াশোনার সিস্টেমটাই দায়ী। নেট কানেকশন না থাকলে উপস্থিতি দেওয়া হয় না অনেক সময়।’ তিনি সরকারের কাছেও আবেদন জানিয়েছেন যাতে দ্রুত এই সিস্টেম থেকে পড়ুয়াদের মুক্ত করা সম্ভব হয়।

আরও পড়ুন: Rohhad Net: নিজের জিভও ছিঁড়ে খেয়ে ফেলছিল ৫ বছরের শিশু! অস্ত্রোপচারে সরল টিউমার, শুধু মিরাকলের অপেক্ষা