Suvendu Adhikari on Arjun Singh: ‘অর্জুন সিং কাউকে ভয় পান না’, পুরভোটে ‘প্রত্যয়ী’ শুভেন্দু

North 24 Pargana: বিজেপির তরফে প্রার্থীপদ পেয়েও দলত্যাগ করেছেন অর্জুনের ভাইপো সৌরভ সিং, ভগ্নিপতি সুনীল সিং ও তাঁর ছেলে আদিত্য সিং। তিনজনেই বিজেপির তরফে এ বার পুরভোটে প্রার্থীপদ পেয়েছিলেন।

Suvendu Adhikari on Arjun Singh: 'অর্জুন সিং কাউকে  ভয় পান না', পুরভোটে 'প্রত্যয়ী' শুভেন্দু
অর্জুনের পাশে শুভেন্দু, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 17, 2022 | 12:44 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: ‘আমাকে ধোঁকা দিয়েছে, পরিবারকে ধোঁকা দিয়েছে’, আপন ভাইপো, ভগ্নিপতির বিজেপি ত্যাগের ঘটনায় প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া ছিল ব্যারাকপুর সাংসদ অর্জুন সিংয়ের। নিজ গড়েই বড় ধাক্কা খেয়েছেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh)। বিজেপির তরফে প্রার্থীপদ পেয়েও দলত্যাগ করেছেন অর্জুনের ভাইপো সৌরভ সিং, ভগ্নিপতি সুনীল সিং ও তাঁর ছেলে আদিত্য সিং। তিনজনেই বিজেপির তরফে এ বার পুরভোটে প্রার্থীপদ পেয়েছিলেন। কিন্তু বিজেপিতে থেকে কাজ করতে পারছিলেন না বলে অভিযোগ তাঁদের। তাই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তাঁরা। খাস অর্জুনের  গড়ে এভাবে তাঁরই আত্মীয়দের শাসক শিবিরে যোগদান কার্যত তৃণমূলকে আরও শক্তিশালী করছে বলেই মনে করছেন শাসক শিবিরের একাংশ। এ বার তা নিয়েই মুখ খুললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

পুরভোটের প্রচারে এসে বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “অর্জুন সিং কাউকে ভয় পান না। তিনি বড় নেতা। কে ছেড়ে গেল, কে এল তাতে কিছু যায় আসে না। বিজেপি তৃণমূলের মতো যাকে তাকে দলে ঢুকিয়ে নেয় না। আমরা সবাই অর্জুনের পাশে রয়েছি। ওঁ এখানকার সাংসদ, নেতা। বিজেপি যেমন লড়াই করছে করবে।”

বস্তুত,  কিছুদিন আগেই  গারুলিয়া পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ড, ১৭ নম্বর ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে যথাক্রমে বিজেপির তরফে প্রার্থী পদ পেয়েছিলেন আদিত্য, সৌরভ ও সুনীল। কিন্তু, মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরেই তিনজনেই প্রার্থীপদ ফিরিয়ে দেন। তিনজনেই জানিয়েছেন, বিজেপিতে থাকাকালীন তাঁরা কার্যত দলে ব্রাত্য ছিলেন। কাজ করতে পারছিলেন না কেউ। তাই ‘উন্নয়নের স্বার্থে’ তৃণমূলে যোগ দেন সকলে।

সেই ঘটনায় কার্যত ‘আঘাত’ পেয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ। বলেছিলেন, “আমি অত্যন্ত আঘাত পেয়েছি। এমনটা হবে আশাও করিনি। আমাকে ধোঁকা দিয়েছে ওরা। পরিবারকে ধোঁকা দিয়েছে। আমাদের পরিবারে, একজন তৃণমূল, একজন বিজেপি, একজন সিপিএম করবে এমনটা ভাল দেখায় না। যাক গে, এতে বিজেপির কোনও ক্ষতি হবে। বিজেপির যে ভোটার রয়েছে তা থাকবে।”

যদিও, তৃণমূলের একাংশের ধারণা, ভাটপাড়া-ব্যারাকপুরে চত্বরে অর্জুনের প্রভাব কিছুটা হলেও কমবে। অর্জুনের গড় বলে পরিচিত ভাটপাড়া-ব্যারাকপুর চত্বর একরকম বিজেপির ‘পাকাপোক্ত’ ঘর বলেই পরিচিত। সেখানে ফাটল ধরাতে দীর্ঘদিন তৎপর ছিল তৃণমূল। কিন্তু তা হয়নি। অর্জুনের নিকটাত্মীয়দের যোগদানে যে ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদকে কিছুটা কোণঠাসা করা যাবে, এমনটাই মনে করেছে শাসক শিবির। আর তার ফল সরাসরি পুরভোটে মিলবে বলেই মনে করছেন অনেকে। যদিও তা মানতে নারাজ বিজেপি নেতৃত্ব। সেই উপলক্ষ্যেই মূলত অর্জুনের পাশে দাঁড়িয়ে পুরভোটের প্রচার চালান শুভেন্দু। এর আগেও বিভিন্ন  সময়েই অর্জুনের পাশে অধুনা বিজেপি বিধায়ককে দেখা গিয়েছে। দলীয় কর্মীদের মনোবল  বাড়াতেই বিজেপির এই উদ্যোগ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ।

আরও পড়ুন: Naihati Shoot Out: ভোটের আগেই তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি, গাড়ির কাচ ফুটো হয়ে বেরিয়ে গেল গুলি!