Basirhat Murder: মেঝেতে স্ত্রীর শরীর, সামনের ঘরে ফুটফুটে মেয়ের নিথর দেহ! থানায় গিয়ে যুবক সাফ বললেন…
Basirhat Murder: বছর পঁয়ত্রিশের সঞ্জীব পালের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল গ্রামেরই বাসিন্দা মৌসুমী পালের। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই দু'জনের মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত।
বসিরহাট: মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘর থেকে চিৎকার চেঁচামেচির শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন প্রতিবেশীরা। স্বামী-স্ত্রী নিত্য নৈমিত্তিক অশান্তি ভেবে তাতে বিশেষ আমল দেননি। প্রতিবেশীরাই জানাচ্ছেন, কিছুক্ষণ পর অশান্তি থেমেও গিয়েছিল। তারপর ঘর থেকে হন হন করে বেরিয়ে যেতে দেখেছিলেন বাড়ির কর্তাকে। তখনও তাঁরা ভেবেছিলেন, হয়তো অশান্তির চোটে রেগে ঘর থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু যখন বাড়িতে পুলিশ আসে, টনক নড়ে সবার। ঘরের মেঝেতে পড়ে তখন সাত বছরের ফুটফুটে মেয়ের শরীর। আর পাশে ঘরের মেঝেতে পড়ে ওই যুবকের স্ত্রী। কোমরে দড়ি বেঁধে পাশেই দাঁড়িয়ে যুবক। স্ত্রী ও সন্তানকে খুন করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করলেন এক যুবক। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বসিরহাটের বাদুড়িয়া থানার রামচন্দ্রপুর গ্রামের দাসপাড়ার ঘটনা। মৃতদের নাম মৌসুমী ও সৌমিলি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পঁয়ত্রিশের সঞ্জীব পালের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল গ্রামেরই বাসিন্দা মৌসুমী পালের। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই দু’জনের মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই একাধিকবার পণের জন্য চাপ দিতেন সঞ্জীব। সেই পণ দিতে না পারলে মৌসুমীকে ব্যাপক মারধর করতেন বলেও অভিযোগ। বধূর পরিবারের দাবি, কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণের পর থেকে মৌসুমীর ওপর সেই অত্যাচারের মাত্রা আরও বাড়তে থাকে। এই নিয়ে একাধিকবার গ্রামে সালিশি সভাও বসে। কিন্তু তাতে সঞ্জীবের আচরণে কোনও বদল আসেনি।
মঙ্গলবার রাতে আবারও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হয়। বুধবার ভোররাতে স্ত্রী মৌসুমী ও বছর সাতের কন্যা সৌমিলি পালকে ঘুমের মধ্যেই কুপিয়ে খুন করেন বলে অভিযোগ। তারপর হাবড়া থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ঘটনায় মৌসুমীর শ্বশুর ও শাশুড়িকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।