STF: কার্তুজকাণ্ডে ধৃত আশিক-আব্দুল কোন দলের? মুখ খুলছে না গ্রামবাসী, পরস্পরকে আক্রমণ তৃণমূল-বিজেপির
STF: শনিবার জীবনতলার ঈশ্বরীপুর এলাকা থেকে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স ১৯০ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে। এছাড়া আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। আশিক ও আব্দুল গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁদের রাজনৈতিক যোগ নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়েছে।

বসিরহাট: জীবনতলা থেকে ১৯০ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধারের ঘটনায় এবার রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু। ধৃত ৪ জনের মধ্যে ২ জনের সঙ্গে তৃণমূলের যোগের অভিযোগ উঠেছে। ধৃত ওই ২ জন হলেন আশিক ইকবাল গাজী ওরফে বাপ্পা গাজী ও আব্দুল সেলিম গাজী ওরফে বাবলু গাজী। দু’জনের বাড়ি হাসনাবাদের মুরারীশাহ এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আশিক ইকবাল গাজী তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য। আর আব্দুল সেলিম গাজীর স্ত্রী তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য। আবার তৃণমূলের দাবি, ২০২১ সালে ওই ২ জন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। যদিও তৃণমূলের দাবি খারিজ করেছে বিজেপি।
গতকাল জীবনতলার ঈশ্বরীপুর এলাকা থেকে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স ১৯০ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে। এছাড়া আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। আশিক ও আব্দুল গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁদের রাজনৈতিক যোগ নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। রবিবার মুরারীশাহ ওই দু’জনের বাড়িতে দিয়ে দেখা গেল তালা বন্ধ। ২ জনেরই পাকা বাড়ি। এদিন বাড়িতে কাউকে পাওয়া গেল না। স্থানীয় বাসিন্দারাও মুখ খুলতে নারাজ। প্রশ্ন করলেই এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেন গ্রামবাসীরা।

ধৃত ২ জনের বাড়ি
ধৃত এই দু’জনের রাজনৈতিক যোগের কথা উঠতেই হাসনাবাদের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি আখের আলি মোল্লা বলেন, ওই ২ জন ২০২১ সালে বিজেপিতে যোগ দেন। এখন তৃণমূলের সঙ্গে তাঁদের কোনও সম্পর্ক নেই। বিজেপির সঙ্গেই তাঁদের যোগাযোগ রয়েছে বলে তাঁর দাবি।
তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির দাবি উড়িয়ে দিলেন বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার যুব সভাপতি পলাশ সরকার। তাঁর বক্তব্য, ধৃত এই ২ জনের সঙ্গে তৃণমূলের যোগ রয়েছে। পুলিশ তাঁদের ধারেকাছে যেতে পারে না।
অন্যদিকে, ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর দাবি, ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লার ঘনিষ্ঠ কার্তুজকাণ্ডে ধৃত চারজন। নওশাদের অভিযোগ নিয়ে শওকতের বক্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি।





