Khardah: প্রাক্তন পুলিশ কর্মীর মেয়ের শ্লীলতাহানি, নিজের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতেই TMC নেতা বললেন, ‘ওরা রাত হলে কোথায় যায় জানেন?’
Khardah: এরপরই প্রতিবাদ করেন দুই মহিলা। এরপর দলবল নিয়ে এসের হুমকি দেন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য। মারধর করা হয় তাঁদের। খবর পেয়ে মেয়েটির পরিবারের লোক ঘটনাস্থলে আসে। তাঁদের সামনেই হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ।

খড়দহ: ফের নারী নির্যাতনের অভিযোগ। ঘটনাস্থল উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ। সেখানে প্রাক্তন পুলিশ কর্মীর মেয়েকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ। কাঠগড়ায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। জানা যাচ্ছে, আবাসনের ভিতরেই প্রাক্তন পুলিশ কর্মীর মেয়ে সহ দুজনের রাস্তা আটকে তাঁদের মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ সামনে এসেছে। প্রতিবাদ করলে গুলি করারও হুমকি বলে অভিযোগ উঠছে। ঘটনার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় (সত্যতা যাচাই করেনি টিভি ৯ বাংলা)।
জানা গিয়েছে, খড়দহ পাতুলিয়া এলাকার বাসিন্দা এই কলেজ পড়ুয়া ও তাঁর দিদি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত। তাঁরা আবাসনের ভিতরের রাস্তা দিয়ে স্কুটি করে যাচ্ছিলেন। ঠিক সেই সময় গেটের সামনে এদের আবাসনের বাইরে বেরতে বাধা দেন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য। রাস্তা আটকে দাঁড়ান অভিযুক্তের দলবল বলে । অভিযোগ, ওই তৃণমূল নেতা এসে বলেন এখন থেকে এই রাস্তা দিয়ে যাওয়া যাবে না একটা নতুন নিয়ম হয়েছে।
এরপরই প্রতিবাদ করেন দুই মহিলা। এরপর দলবল নিয়ে এসের হুমকি দেন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য। মারধর করা হয় তাঁদের। খবর পেয়ে মেয়েটির পরিবারের লোক ঘটনাস্থলে আসে। তাঁদের সামনেই হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় রহড়া থানার পুলিশ। এই ঘটনার পর আতঙ্কিত মেয়েটির বাড়ির লোকজন। তরুণীর বাবা প্রাক্তন পুলিশ কর্মী। পাল্টা শাসক নেতার দাবি, এই ঘটনার কোনও সত্যতা নেই। মারধরের অভিযোগ মিথ্যে। অভিযোগকারিনী মহিলা বলেন, “আমরা এখান থেকেই যাতায়াত করি। প্রতিদিনই এখান থেকে যাই। সেটাই জানাই ওদের। এরপর আমরা প্রতিবাদ করতেই মারধর করে আমাদের।”
এরপরই প্রতিবাদ করেন দুই মহিলা। এরপর দলবল নিয়ে এসের হুমকি দেন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য। মারধর করা হয় তাঁদের। খবর পেয়ে মেয়েটির পরিবারের লোক ঘটনাস্থলে আসে। তাঁদের সামনেই হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। এ দিকে, এই বিষয়ে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা বলেন, “আগে ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করতে হবে। তারপর বাকিটা। আর এলাকার লোকজনের থেকে খবর নেবেন ওরা রাত হলে কোথায় যায়, কাদের সঙ্গে মেশে। আমি ওদের বোঝাচ্ছিলাম। আমরা বাইক দৌরাত্ম বন্ধ করতে চেয়েছিলাম।”





