AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Barrackpore: ‘যেখানেই যান কিচ্ছু করতে পারবেন না’, কার্গিল জয়ী সেনা অফিসার, তাঁর ছেলেদের মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

Barrackpore: প্রথমে ওই মদ্যপ যুবক চলে গেলেও পরে আবার দলবল নিয়ে ফেরত আসে তারা। অভিযোগ, দুই ভাইকে মারধরের অভিযোগ ওঠে।

Barrackpore: 'যেখানেই যান কিচ্ছু করতে পারবেন না', কার্গিল জয়ী সেনা অফিসার, তাঁর ছেলেদের মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
প্রাক্তন সেনা অফিসার ও দুই পুত্র (নিজস্ব চিত্র)
| Edited By: | Updated on: Mar 08, 2023 | 1:33 PM
Share

ব্যারাকপুর: দোলের দিন রঙ মেখে পাড়ার মোড়ে মত্ত আচরণ এক যুবকের। তাঁর প্রতিবাদ করেন কার্গিল জয়ী প্রাক্তন অফিসারের দুই ছেলে। এরপরই বাধল বিপত্তি। প্রথমে ওই মদ্যপ যুবক চলে গেলেও পরে আবার দলবল নিয়ে ফেরত আসে তারা। অভিযোগ, দুই ভাইকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। জানা গিয়েছে, ওই যুবকরা এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত। সূত্রের খবর, উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর সিউলি পঞ্চায়েতের কলেজ পল্লীর বাসিন্দা জন্মোজয় মণ্ডল। তিনি প্রাক্তন সেনা অফিসার। কার্গিল যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন জন্মোজয় মণ্ডল। প্রাক্তন সেনা অফিসারের দুই পুত্র একজন জগদীশ মহাতো ও দ্বিতীয় জন সমীরণ মাহাত।

অভিযোগ, গতকাল পাড়ার মোড়ে ওই মদ্যপ যুবক গালাগালি করছিল। সমীরণবাবু ও জগদীশ মাহাত ওই যুবককে বাধা দেয়। তখনকার মতো ঝামেলা থেমে গেলেও কিছুক্ষণ পর বাইরে থেকে বেশ কয়েকজন ছেলে এসে উপস্থিত হয় সেখানে। এরপর জগদীশকে মারধর করে তার গলার হাড় ভেঙে দেয়। পরে ছোট ভাই বাধা দিলে তাঁকেও মারধর করার অভিযোগ ওঠে ওই যুবকদের বিরুদ্ধে। এমনকী, জন্মোজয়বাবু তাদের বাধা দিলে তাঁকেও রেয়াত করেনি দুষ্কতী। লাগাতার মারধর করে তাকে। চোখে ঘুষিও মারা হয়।

এরপর এলাকা থেকে চম্পট দেয় তারা। অভিযোগ, যাওয়ার আগে ওই দুষ্কৃতীরা হুমকি দিয়ে বলে যায়, “যেখানে খুশি যান, যে নেতার কাছে যান। আমাদের কিচ্ছু করতে পারবেন না।” পাশাপাশি তাঁরা নিজেদের তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত প্রধান অরুণ ঘোষের নাম নিয়ে বলে যায় যে তাঁরা প্রধানের লোক।

বর্তমানে বাবা ও দুই ছেলে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি। ইতিমধ্যে মোহনপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার। যদিও, গোটা ঘটনায় অভিযোগ অস্বীকার করেছে পরিবার। শিউলি পঞ্চায়েত প্রধান অরুণ ঘোষ বলেন, “এটা ওদের পারিবারিক ঝামেলা। এখানে তৃণমূল কোনও ভাবে জড়িত নয়। আমি কাউকে এ ধরনের কাজে প্রশ্রয় দিই না।”

তবে দিনে দুপুরে এ হেন দুষ্কৃতী তাণ্ডবে ত্রস্ত এলাকার বাসিন্দারা। পুলিশ প্রশাসনকে আরও সজাগ থাকার অনুরোধ করেছেন তাঁরা।