Arjun Singh: ‘VVIP নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরতে লজ্জা করে আমার’, ব্যারাকপুর গুলিকাণ্ডে ফের বিস্ফোরক অর্জুন সিং
Arjun Singh: ব্যারাকপুরে ১৪ নম্বর রেল গেটের কাছে একটি সোনার দোকানে ডাকাতি করতে এসে মালিকের ছেলেকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা।
ব্যারাকপুর: সোনার দোকানের মালিকের ছেলেকে গুলি করে খুনের ঘটনায় অবশেষে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার ৪২ ঘণ্টার মাথায় এই গ্রেফতারি। এই ঘটনায় হাওড়া স্টেশন থেকে যে দুই সন্দেহভাজনকে পুলিশ আটক করেছে, তাদের মধ্যেই একজনকে গ্রেফতার বলে পুলিশ সূত্রে খবর। অন্যদিকে এই ঘটনাকে সামনে রেখে আবারও পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করালেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh)। সাংসদকে এমনও বলতে শোনা গেল, “মানুষকে নিরাপত্তা দিতে পারছি না, আমি নিজে নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি।” বিজেপির টিকিটে গত লোকসভা ভোটে জিতলেও পরে তৃণমূলে ‘ঘরওয়াপসি’ হয় অর্জুনের। যদিও তৃণমূলে ফিরলেও এখন সেখানে অর্জুনের দাপট অনেকটাই ম্লান বলে দাবি এলাকার লোকজনের। সেখানে তৃণমূলের আরেক গোষ্ঠী যথেষ্ট শক্তিশালী বলেই মত তাঁদের। বিভিন্ন সময়ে অর্জুনের মুখে এমন কথাও শোনা যায়, যা বিড়ম্বনা বাড়ায় শাসকদলের অন্দরেই।
ব্যারাকপুরে ১৪ নম্বর রেল গেটের কাছে একটি সোনার দোকানে ডাকাতি করতে এসে মালিকের ছেলেকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এদিন অর্জুন সিং বলেন, “যেখানে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নেই, সেখানে নিজের ভিভিআইপি নিরাপত্তা নিতে লজ্জা করে আমার। ব্যারাকপুরের সাংসদ হয়ে সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিতে পারছি না, আমি নিজে নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি। অপরাধীরা নিরাপত্তা পাচ্ছে। আর সাধারণ মানুষ গুলি খেয়ে মরছে। জলজ্যান্ত একটি নিরীহ ছেলেকে মেরে দিল।”
TV9 বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, “জেল থেকে ব্যবসায়ীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। জেলে বসে এক বিরিয়ানির ব্যবসায়ীর কাছে স্করপিও গাড়ি চাওয়া হচ্ছে, মোটা টাকা তোলা চাওয়া হচ্ছে। কখনও বাইরের জেল থেকে, আবার কখনও সেন্ট্রাল জেল থেকে। এদের যারা কালেক্টর, তাদের গ্রেফতার করলেই আসল মাথা পাওয়া যাবে। পুলিশকে তিন মাস আগে বলেছি এদের ধরতে।”
এর আগে বৃহস্পতিবারও অর্জুন সিং টিটাগড় থানার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সরাসরি বলেন, পুলিশের ভূমিকা ঠিক নেই। পুলিশের ভূমিকায় দলের ক্ষতি হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। যার পাল্টা আবার তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে বলতে শোনা গিয়েছে, দলের সিনিয়র নেতা যদি বিরোধীদের ভাষায় কথা বলেন তা ঠিক নয়। তবে গত কয়েকদিনে একাধিকবার দলের বিড়ম্বনা বাড়িয়েই মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে অর্জুনকে।