Nusrat Jahan: নুসরত জাহান ‘নিখোঁজ’, তৃণমূলের তারকা-সাংসদ গেলেন কোথায়, উদ্বিগ্ন বসিরহাটের মানুষ
Basirhat: স্থানীয়দের দাবি, রাতের অন্ধকারে কেউ বা কারা এসে এই পোস্টার লাগিয়েছে। তবে একইসঙ্গে তাঁদের বক্তব্য, ভোটের পর থেকে সাংসদকে এলাকার লোকজন আর সামনে থেকে দেখতে পাননি।
উত্তর ২৪ পরগনা: এলাকার বাড়ির দেওয়াল, বাতিস্তম্ভের গায়ে পোস্টার। তাতে স্থানীয় সাংসদ নুসরত জাহানের ছবি লাগানো। লেখা, ‘সাংসদ নুসরত জাহান নিখোঁজ। সন্ধান চাই’। সৌজন্যে কোনওটায় ‘প্রচারে তৃণমূল কর্মীবৃন্দ’, কোনওটায় আবার ‘প্রতারিত জনগণ’, ‘সাধারণ জনগণ’। বসিরহাট লোকসভার বিস্তীর্ণ গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার পাশাপাশি হাড়োয়া বিধানসভার চাঁপাতলাতেও এই পোস্টার এবার দেখা গেল। যা ঘিরে তুমুল রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। এই তরজায় অক্সিজেন জুগিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের বক্তব্য। তাঁর কথায়, সাধারণ মানুষ যাঁকে ভোট দিয়ে জেতান, তাঁর কাছে প্রত্যাশা তো থাকবেই। স্থানীয়দের দাবি, রাতের অন্ধকারে কেউ বা কারা এসে এই পোস্টার লাগিয়েছে। তবে একইসঙ্গে তাঁদের বক্তব্য, ভোটের পর থেকে সাংসদকে এলাকার লোকজন আর সামনে থেকে দেখতে পাননি। সোশাল মিডিয়া, রিল ভিডিয়ো দেখেই খুশি থাকতে হয় বলে অভিযোগ। তারই প্রতিবাদে কেউ বা কারা এই কাজ করতে পারেন বলে মনে করছেন তাঁরা। এ প্রসঙ্গে বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি পলাশ সরকার বলেন, বসিরহাটের সাংসদ টিকটক আর সিনেমার পর্দায় রয়েছেন। তাই তিনি অন্তরাল থেকে বেরিয়ে এসে মানুষের জন্য কাজ করেন না। তৃণমূল কংগ্রেসে তাঁর অস্তিত্বও হারিয়ে গিয়েছে।
চাঁপাতলা গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান হুমায়ুন রেজা চৌধুরী বলেন, “এই পোস্টারের বিষয়টা আমি জানতে পেরেই সেগুলি ছিঁড়ে ফেলার কথা বলি। ২০০৯ সালে হাজি নুরুল সাহেব সাংসদ হন। প্রচুর কাজ করেছিলেন মানুষের জন্য। সেখানে নুসরত কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে সেভাবে মানুষ দেখতে পান না। এতে মানুষের মনে হয়ত ক্ষোভ থাকতেই পারে। সেটা আমরা দলকে বলব।” পোস্টারে তৃণমূল কর্মীবৃন্দের উল্লেখ প্রসঙ্গে প্রধানের বক্তব্য, “দলের কর্মী, সাধারণ মানুষই তো ভোট দিয়ে প্রধান, সাংসদ, বিধায়ক নির্বাচিত করেন। দলের কর্মীরা সবসময় খাটেন। এই যে নুসরত জাহানের উন্নয়নমূলক কোনও কাজ হচ্ছে না, কোনও অনুষ্ঠানে তাঁকে পাওয়া যাচ্ছে না তাতে ক্ষোভ থাকতেই পারে।”
সিপিআইএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সদস্য ইমতিয়াজ হোসেনের বক্তব্য, “নুসরত জাহান যখন প্রার্থী হয়েছিলেন সেই সময়ই আমরা বলেছিলাম এই প্রার্থীর কোনও রাজনৈতিক পরিচিতি নেই। সমাজের প্রতি তাঁর কোনও অবদান নেই। সমাজের মানুষের সঙ্গে তাঁর কোনও বাস্তব যোগাযোগ নেই। এই মানুষকে জেতালে তিনি কী বা বলবেন বসিরহাটের হয়ে? ২০১৯ সালেই এ প্রশ্ন তুলেছিলাম। আজ ২০২২-এ তা বাস্তবে রূপান্তরিত হয়েছে।” যদিও এই বিষয়ে সাংসদ নুসরত জাহানের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।