AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Fraud Case: প্রাক্তন ডিআইজির ক্রেডিট কার্ড সাফ! প্রতারণা করে শ্রীঘরে যুবক

Fraud Case: পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯ এপ্রিল প্রাক্তন ডিআইজি রমেশ চন্দ্র গৌড় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায়।

Fraud Case: প্রাক্তন ডিআইজির ক্রেডিট কার্ড সাফ! প্রতারণা করে শ্রীঘরে যুবক
গ্রেফতার হওয়া যুবক (নিজস্ব চিত্র)
| Edited By: | Updated on: Sep 03, 2022 | 3:32 PM
Share

কলকাতা: রাজ্য নয়, দেশ নয়, বিদেশি অ্যাকাউন্ট ছিল তার নজরে। এমনকী তার নজর থেকে বাদ যায়নি প্রাক্তন ডিআইজি-র ক্রেডিট কার্ডও। লক্ষাধিক টাকা নিমেশেই তুলে নিয়েছিল সেই হ্যাকার। মাস কয়েকের পুলিশ-হ্যাকার স্নায়ুযুদ্ধ শেষে হাওড়া থেকে ধৃত বিকাশ সিংহ নামে সেই হ্যাকার। শনিবারই তাকে তোলা হবে বিধানগর আদালতে। সেখানে তাকে নিজেদের হেফাজতে চাইবেন তদন্তকরীরা।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯ এপ্রিল প্রাক্তন ডিআইজি রমেশ চন্দ্র গৌড় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায়। সেখানে তিনি জানান, একটি অপরিচিত নম্বর থেকে তাঁর মোবাইলে ফোন আসে। কিন্তু সেই ফোনটি ধরতেই বিকল হয়ে যায় সবকিছু। টানা বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টার পর অবশেষে নিজের ফোনটি সচল করতে সক্ষম হন রমেশবাবু। তখন তিনি দেখতে পান, হঠাৎ করে তার ক্রেডিট কার্ড থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে ১ লক্ষ ৪০ হাজার ৩০৮ টাকা। এভাবে টাকা গায়েব হয়ে যাওয়ায় কার্যত কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যান তিনি।

এ দিকে, প্রাক্তন ডিআইজির সঙ্গে এই ঘটনা জন্য দাঁড়িয়ে দেয় পুলিশ প্রশাসনকে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, টাকা পৌঁছেছিল হাওড়ার একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। তদন্তের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে জানা যায়, হাওড়ার জগাছা এলাকায় বিকাশ সিংহ নামের এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে সেই টাকা পৌঁছেছে। এছাড়াও যে নম্বর থেকে রমেশবাবুর মোবাইলে ফোন এসেছিল তাঁর লোকেশনও একই এলাকার। এরপরেই শুক্রবার গভীর রাতে হানা দিয়ে বিকাশকে গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, ওই ব্যক্তি বিভিন্ন ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি করত। তারপর প্রতারণার জাল পেতে অপারেশন চালাত। গ্রেফতারের পর শনিবার তাকে তোলা হবে বিধাননগর আদালতে। তার প্রতারণা চক্রের থাবা কতদূর বিস্তৃত তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। আদালতে তাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার দাবি জানাবেন তারা। তারপর চলবে জিজ্ঞাসাবাদ।