Panihati: ২ হাজার টাকা চাঁদার ‘দাবি’, রাজমিস্ত্রির বাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ যুব তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে
Trinamool Congress: যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি ঘটনার দিন এলাকায় ছিলেন না অভিযুক্ত অর্জুন। দলের যুব নেতার পাশে দাঁড়িয়ে ওই দম্পতির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ খুঁজে পেয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তা নিয়েও প্রশাসনিক মহলের পাশাপাশি স্থানীয় স্তরে চলছে চাপানউতোর।

পানিহাটি: পানিহাটিতে এবার চাঁদার জুলুম। ২ হাজার টাকা চাঁদা চেয়ে চলতে থাকে জুলুম। বৃহস্পতিবার রাতে ছাড়িয়ে গেল সব সীমা। কাঠগড়ায় যুব তৃণমূল নেতা ও তাঁর দলবল। আস্ত রইল না জানলার একটা কাচও। ভাঙা দরজাও। ব্যাপক ভাঙচুর চলেছে স্কুটারেও। যেদিকেই চোখ যায় সেদিকেই স্পষ্ট তাণ্ডবের ছাপ। রাজমিস্ত্রীর কাজ করে সংসার চালান পানিহাটির আনন্দনগরের বাসিন্দা মিলন মণ্ডল। ভাড়ার ঘরে থাকেন। মিলনের দাবি, তাঁর থেকে কালীপুজোর জন্য ২ হাজার টাকা চাঁদার দাবি করা হয়। টাকা নিতে তৃণমূলের যুব নেতা অর্জুন চক্রবর্তী দলবদল নিয়ে চড়াও হয়। দাবি পূরণ না হওয়ায় মিলন ও তাঁর স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করা হয়। অজুহাত হিসাবে দাঁড় করানো হয় কাঠ সরানোর ইস্যুকে।
মিলন বলছেন, “বাড়িওয়ালা আমাকে ফোন করে বলে দাদা তুমি ৫০০ টাকা দিয়ে দিও। আমি ৫০০ দেব। আমার ছেলে এরপরই ৫০০ টাকা দিয়েও দেয়। কিন্তু তারপরই শুরু হয় অত্যাচার। দরজা ভেঙেছে, গাড়ি ভেঙেছে।” মিলনের স্ত্রী রিঙ্কু মণ্ডলও বলছেন একই কথা। ক্ষোভের সঙ্গেই তিনি বলছেন, “আমরা বের হলে হয়তো আমাদের খুনই করে দিত। গালাগালির সঙ্গে হুমকি দিতে থাকে। বলে এখনই বেরিয়ে আয়। না বেরলে তোর অবস্থা খারাপ দেব।”
যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি ঘটনার দিন এলাকায় ছিলেন না অভিযুক্ত অর্জুন। দলের যুব নেতার পাশে দাঁড়িয়ে ওই দম্পতির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ খুঁজে পেয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। পানিহাটি পৌরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুভাষ চক্রবর্তী বলছেন, “ওই বাড়ির বিরুদ্ধে এলাকার লোকজনের অভিযোগ রয়েছে। ওখানে জুয়া খেলা, মদ খাওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। বহু রকম বাজে কাজ হয়। অভিযোগ অনেকদিন থেকেই।” এদিকে এ ঘটনায় ঘোলা থানায় অভিযোগ দায়ের হলেও অভিযুক্তরা এখনও অধরা বলেই জানা যাচ্ছে।
