Video: CPIM-এর প্রাক্তন বিধায়ককে বেধড়ক মারার হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেতার

এরপরে যদি দ্বিতীয়বার কুৎসা করে দল থেকে আইনত ব্যবস্থা নেব, এফআইআর করব, জনগণকে জড়ো করে বিচার চাইব। সিপিআইএম নেতাকে হুঁশিয়ার পাণ্ডুয়ার ব্লক তৃণমূল সভাপতির।

Video: CPIM-এর প্রাক্তন বিধায়ককে বেধড়ক মারার হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেতার
তৃণমূল নেতা সঞ্জয় ঘোষ ও সিপিআইএম নেতা আমজাদ হোসেন।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 10, 2022 | 5:03 PM

পাণ্ডুয়া: পঞ্চায়েত ভোটের এখনও দেরি রয়েছে। এর মধ্যেই শাসক ও বিরোধী দলের নেতাদের বাকযুদ্ধে সরগরম হয়ে উঠল হুগলির পাণ্ডুয়া। শাসকদলকে ‘চোর’ বলার পালটা সিপিএম-এর প্রাক্তন বিধায়ককে পান্ডুয়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি একেবারে বেধড়ক মারধরের হুঁশিয়ারি দিলেন বলে অভিযোগ। যদিও তৃণমূল নেতার এই ধরনের মন্তব্যকে সমর্থন করেননি এলাকাবাসী। ব্লক তৃণমূল সভাপতির কুরুচিকর মন্তব্যকে ধিক্কার জানিয়ে পোস্টার পড়ে এলাকায়।

জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার পান্ডুয়ার কোটাল পুকুর এলাকায় পথসভা করে তৃণমূল। সেই সভাতেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে পান্ডুয়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ রীতিমতো হুঁশিয়ারি দেন সিপিএম-এর প্রাক্তন বিধায়ক আমজাদ হোসেনকে। তাঁর সেই বক্তব্যের ভিডিও বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা ডিজিটাল। তবে জোর বিতর্ক ছড়িয়েছে।

কী বলেছেন পান্ডুয়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি?
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে শোনা যাচ্ছে, সরাসরি প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক আমজাদ হোসেনের উদ্দেশ্যে পান্ডুয়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ হুঁশিয়ারির সুরে বলছেন, “যেদিন পান্ডুয়ায় পাব, সেদিন ওকে খুব মার মারব।” আমজাদ হোসেনকে ‘দালাল’ কটাক্ষ করে তিনি আরও বলেন, “সিপিএম বলে কিছু আছে? একটা সিটও পেয়েছে? তারা দিশাহীন রাজনীতির মধ্যে পড়ে গিয়েছে। ১০ বছরে বিধায়ক থাকাকালীন পান্ডুয়ার কোনও উন্নয়ন করেনি। খালি প্রোমোটারের কাছ থেকে টাকা তুলেছে জমির দালালি যারা করে তাদের কাছ থেকে টাকা তুলেছে। এটা দালাল। কোনও কাজই করেনি।”

যদিও এর পালটা জবাব দিয়েছেন পান্ডুয়ার প্রাক্তন বিধায়ক আমজাদ হোসেন। গত ৬ ডিসেম্বর কোটালপুকুর এলাকায় ‘কালা দিবস’ উপলক্ষ্যে পথসভায় শাসকদলের নেতাদের চোর বলার প্রেক্ষিতেই ব্লক তৃণমূল সভাপতির এই হুঁশিয়ারি বলে জানান আমজাদ হোসেন। তিনি বলেন, “তৃণমূলের একের পর এক নেতা-মন্ত্রী জেলে গিয়েছেন। উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি টাকা। আমরা বলেছিলাম,উপর থেকে পঞ্চায়েত পর্যন্ত গোটাটা দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল। এর দায়িত্ব তৃণমূলকে নিতে হবে। কারণ সব প্রশাসনে তারা রয়েছে। এই কথা বলার পরেই তৃণমূলের গায়ে জ্বালা ধরেছে। বিভিন্ন কথা বলতে গিয়ে তারা ব্যক্তিগত আক্রমণ শুরু করে দেয়। বাবা-মা এমনকি আমাকে নিয়েও বিভিন্ন কুরুচিকর মন্তব্য করা হয়েছে।”

জানা গিয়েছে, গত ৬ ডিসেম্বর কোটালপুকুর এলাকায় কালা দিবস উপলক্ষে পথসভা করা হয় সিপিএমের পক্ষ থেকে। সেখানে মানুষকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে বলা হয়। পাশাপাশি স্থানীয় একটি জলাশয় ভরাট করে দেওয়া প্রসঙ্গেই তৃণমূল নেতাদের ‘চোর’ বলে কটাক্ষ করেন প্রাক্তন বিধায়ক আমজাদ হোসেন।

তবে প্রাক্তন বিধায়কের উদ্দেশ্যে ব্লক তৃণমূল সভাপতির হুঁশিয়ারি মেনে নেননি এলাকাবাসী। শুক্রবার বিকেলে কোটালপুকুর এলাকায় গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে পোস্টারিং করা হয়। পান্ডুয়ার প্রাক্তন বিধায়ক আমজাদ হোসেনের নামে তৃণমূলের কুরুচিকর ভাষণকে জানাই ধিক্কার জানিয়ে পোস্টার পড়ে।

যদিও পাল্টা জবাব দিয়ে তৃণমূল নেতা সঞ্জয় ঘোষ বলেন, “কুৎসা করেছি , আরও করব। ভারতবর্ষের জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নামে যে ভাষায় বক্তব্য রেখেছে, এরপরে যদি দ্বিতীয়বার করে দল থেকে আইনত ব্যবস্থা নেব। এফআইআর করব, জনগণকে জড়ো করে বিচার চাইব।” তাঁর আরও মন্তব্য, “যে ভাষায় মন্তব্য করেছে আমি পান্ডুয়া থাকলে তার মাইক কেড়ে নিতাম মিটিং মিছিল করতে দিতাম না।”