Moloy Ghatak: তদন্তে গড়িমসি, আইন মন্ত্রীর কাছে পুলিশের বিরুদ্ধে নালিশ মৃতদের পরিবারের

Paschim Bardhaman: মন্ত্রীকে হাতের নাগালে পেয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন মৃতের পরিবার। শুধু তাই না, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করেন পরিবারের সদস্যরা।

Moloy Ghatak: তদন্তে গড়িমসি, আইন মন্ত্রীর কাছে পুলিশের বিরুদ্ধে নালিশ মৃতদের পরিবারের
মৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বললেন মলয় ঘটক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 24, 2022 | 9:11 PM

আসানসোল : বেশ কয়েকদিন ধরেই নিঁখোজ ছিলেন বছর একুশের রাকেশ রাউত এবং বছর চল্লিশের বিপিন ভূঁইঞা। বিপিন সম্পর্কে রাকেশের কাকা শ্বশুর। গত বৃহস্পতিবার তাদের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। মৃতদের পরিবারের সন্দেহ, খুন করা হয়েছে তাঁদের। জামাই ও শ্বশুরের মৃত্যুর তদন্ত নিয়ে গড়িমসি করছে পুলিশ, এমনটাই অভিযোগ পরিবারের। এবার সেই অভিযোগের কারণেই মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন মন্ত্রী মলয় ঘটক। মন্ত্রীকে হাতের নাগালে পেয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন মৃতের পরিবার। শুধু তাই না, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করেন পরিবারের সদস্যরা।

পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, পুলিশ জোড়া দেহ উদ্ধারের ঘটনায় তদন্তে সেভাবে গুরুত্ব দেয়নি। নিঁখোজ হওয়ার সময় থেকেও স্থানীয় নেতৃত্ব তাঁদের পাশে থাকেননি। মৃত বিপিন ভূঁইঞার স্ত্রী মীনা ভূঁইঞা মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেন, শ্বশুর ও জামাইকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে। মন্ত্রী মলয় ঘটক অবশ্য তাঁদের আশ্বস্ত করে জানান, ময়না তদন্তের পরেই প্রকৃত সত্য উঠে আসবে। তবে তিনি পুলিশকে তদন্তে গতি আনতে বলবেন বলেও জানান মৃতদের পরিবারকে। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই (বৃহস্পতিবার) রানিগঞ্জ থানার অন্তর্গত চলবলপুর এলাকার সোলার প্লান্ট প্রকল্পের পাশে পরিত্যক্ত এক খাদান থেকে জোড়া দেহ উদ্ধার করেছিল নিমচা ফাঁড়ির পুলিশ।

মৃত রাকেশ রাউত ও বিপিন ভূঁইঞা উভয়েরই বাড়ি রানিগঞ্জের জেমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২ নম্বর বালি বাঙ্কার এলাকায়। পেশায় দিনমজুর ছিলেন দুই জনেই। নিখোঁজ হওয়ার দিন মোবাইল বন্ধ থাকলেও তারপর মোবাইল চালু ছিল। কিন্তু, সেই সময় বার বার ফোন করা হলেও কেউ ফোন ধরেননি। দেহ উদ্ধারের দিন সকালেও মোবাইল ফোন চালু ছিল। দেহ উদ্ধারের পর মোবাইল ফোনটি বন্ধ হয়ে যায়। পরিবারের সন্দেহ, ওই দুই জনকে হত্যা করে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন। তিনি আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলবেন। ইতিমধ্যেই পুলিশ সুপার নিজে ওই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন। মৃতের পরিবারকে সহযোগিতা করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন : Digha: অপেক্ষা আর কয়েকদিন, শীঘ্রই চালু হচ্ছে দিঘা-কাঁথি ‘মেরিন ড্রাইভ’

আরও পড়ুন : Firhad Hakim: হাওড়ায় ভোট না হওয়ার জন্য দায়ী কে? খোলসা করলেন ফিরহাদ