TMC in Asansol: ভোটের সময় প্রার্থী বিহারীবাবু, ছটের সময় নেই? প্রশ্ন বিরোধীদের
TMC In Asansol: যেহেতু এই জেলায় সবথেকে বেশি হিন্দি ভাষাভাষী মানুষজন থাকেন তাই তাঁদের সুবিধার জন্য পুকুরগুলি পরিষ্কার করার আর্জি জানানো হয়েছে একাধিকবার। আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায় কার্যত মেনে নিয়েছেন পুকুর পরিষ্কার না করার কথা।

আসানসোল: ছট পুজো এসে গিয়েছে। এখনও ঘাট পরিষ্কার হয়নি। অবহেলা করছে তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ড। এমনই অভিযোগ তুললেন বিরোধীরা। আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র তথা বর্তমান বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির দাবি, তৃণমূলের সহযোগী সংগঠন কলকাতায় বসে ছটের বিরোধিতা করছে, তাই তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ড সেই পথেই চলছে।
নদী বা পুকুরে সাধারণত ছট পুজো হয়। যাঁরা ছটের ব্রত পালন করবেন তাঁদের অভিযোগ পরিষ্কারের কাজ ঠিক মতো হচ্ছে না। পুকুরে বা নদীতে ডুব দিয়ে সূর্য দেবতার পুজো করাই ছটের রীতি। জল নোংরা থাকলেও কোনও উপায় থাকে না। ওই জলেই ডুব দিয়েই পুজো করতে হয় ভক্তদের।
এই পুজো নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিরোধীদের অভিযোগ জেলাশাসক থেকে শুরু করে সবাইকেই বারবার এই নিয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। যেহেতু এই জেলায় সবথেকে বেশি হিন্দি ভাষাভাষী মানুষজন থাকেন তাই তাঁদের সুবিধার জন্য পুকুরগুলি পরিষ্কার করার আর্জি জানানো হয়েছে একাধিকবার। আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায় কার্যত মেনে নিয়েছেন পুকুর পরিষ্কার না করার কথা। তিনি জানিয়েছেন, পুরনিগম এলাকায় যত পুকুর রয়েছে তা পরিষ্কার করার জন্য ইতিমধ্যেই টেন্ডার ডাকা হয়েছে।
জিতেন্দ্র তিওয়ারি তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বলেন, হিন্দিভাষীদের কাছ থেকে ভোট নেওয়ার সময় আসে এই সরকার। এক বিহারী বাবুকে সাংসদ বানিয়েছে আসানসোলের সাধারণ মানুষ। আর এই হিন্দিভাষীদের যখন পরব এসেছে, তখন আর তাঁর দেখা নেই। তিনি এসে দেখুন কী অবস্থা। যে পুকুর বা নদীতে ছট পুজো হবে তার কি দশা। শুধু বিহারীবাবু বললেই হবে না, বিহারী ভাইদের পাশেও দাঁড়াতে হবে। উল্লেখ্য, উপ নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়ে এই কেন্দ্রের সাংসদ হয়েছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। তবে তাঁকে এলাকায় খুব বেশি দেখা যায় না বলেই অভিযোগ।





