Sukanta Majumdar: অনুব্রতকে ‘পচা আলু’র সঙ্গে তুলনা সুকান্তর, কী বললেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি?

Anubrata Mondal: উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন শনিবার ফের খারিজ হয়ে গিয়েছে। আদালতে অনুব্রতর আইনজীবী প্রশ্ন তুলেছিলেন 'প্রভাবশালী' তকমা নিয়ে।

Sukanta Majumdar: অনুব্রতকে 'পচা আলু'র সঙ্গে তুলনা সুকান্তর, কী বললেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি?
অনুব্রতকে খোঁচা সুকান্তর
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 30, 2022 | 1:27 PM

দুর্গাপুর: শনিবার দুর্গাপুরে বিধায়ক কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতার ফাইনালের এক অনুষ্ঠানে এসেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। আর সেখানেই অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তাঁকে ‘পচা আলু’র সঙ্গে তুলনা করলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি। তিনি বলেন, “ওরকম পচা আলু বিজেপিতে নেওয়া যাবে না। আমি যতদিন রাজ্য সভাপতি আছি, এমন পচা আলু আমরা রাখব না। ওরকম পচা আলু তৃণমূলে মানায়।” উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন শনিবার ফের খারিজ হয়ে গিয়েছে। আদালতে অনুব্রতর আইনজীবী প্রশ্ন তুলেছিলেন ‘প্রভাবশালী’ তকমা নিয়ে।

অনুব্রতর আইনজীবী সঞ্জয় দাসগুপ্ত গতকাল আদালতে বলেছিলেন, “বার বার প্রভাবশালী তত্ত্বে ওনার জামিনের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হচ্ছে। সিবিআই বার বার ওনার প্রভাবশালী তত্ত্বটি আনছে। যে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের নামে, সেখানে তাঁকে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের জেলা সভাপতি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এটা কি করা যায়? তাহলে কি ধরে নেওয়া যেতে পারে, উনি রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেন কিংবা যদি ক্যাম্প বদল করেন, তাহলে কি ওনার প্রভাবশালী তকমা ঘুচবে? তবেই কি উনি জামিন পাবেন?” অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবীর এই বক্তব্য প্রসঙ্গে ‘পচা আলু’ মন্তব্য করেন সুকান্ত মজুমদার।

যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতির এই মন্তব্যের পাল্টা খোঁচা দিয়েছে তৃণমূল শিবিরও। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সহসভাপতি মলয় মুখোপাধ্য়ায় বলেন, “সুকান্ত মজুমদার কতদিন রাজনীতিতে এসেছেন? আর অনুব্রত মণ্ডল কতদিন? উনি অনুব্রত মণ্ডল সম্পর্কে বলছেন? সুকান্ত মজুমদার তো কোনও বস্তুর মধ্য়েই পড়েন না। সম্ভবত বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব থেকে ওনাকে সরিয়ে অন্য রাজ্য নেতৃত্ব আনতে চলেছে। ওনার এসব বলা সাজে না।”

উল্লেখ্য, গরুপাচার মামলায় তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে গ্রেফতারির পর থেকে এখনও পর্যন্ত জামিন মেলেনি বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতার। একাধিকবার জামিনের আবেদন করা হলেও শেষ পর্যন্ত তা ধোপে টেকেনি।