AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Education Fund: লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা, খোদ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দলের কাউন্সিলরের

Education Fund: ইন্সপেক্টরের কাছে ও থানায় ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন কাউন্সিলর। তিনি জানিয়েছেন, 'কাদরী স্যারে'র কাছেই রাখা ছিল ব্যাঙ্কের পাসবুক এবং চেকবুক।

Education Fund: লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা, খোদ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দলের কাউন্সিলরের
অভিযোগকারী কাউন্সিলর (বাঁদিকে), অভিযুক্ত শিক্ষক নেতা (ডানদিকে)Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Sep 14, 2023 | 6:00 PM
Share

আসানসোল: শিক্ষা কমিটির জন্য আসা টাকা ছলেবলে নিয়ে নিতেন নিজের অ্যাকাউন্টে। এক-দু টাকা নয়, এভাবেই নাকি সরানো হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা! এমনই অভিযোগ উঠেছে খোদ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। শিক্ষা কমিটির পদে থাকা ওই নেতা সই করা চেক-এ টাকার অঙ্ক বদলে দিতেন বলেও অভিযোগ। আর সেই অভিযোগ তুলেছেন খোদ তৃণমূলের কাউন্সিলর। তিনি দিনের পর দিন ওই চেকগুলিতে সই করতেন বলে দাবি করেছেন।

ওয়ার্ড শিক্ষা ও স্বাস্থ্য কমিটির লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যাঙ্ক থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মহম্মদ সৈয়দ আলম কাদরি নামে তৃণমূলের ওই শিক্ষক নেতা বিরুদ্ধে। আসানসোল পুরনিগমের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য কমিটির সম্পাদক তিনি। শুধুমাত্র তৃণমূল নেতাই নন, তিনি আসানসোলের কাজী নজরুল মুক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকও। তাঁর বিরুদ্ধেই এবার আর্থিক তছরূপের অভিযোগ। আর অভিযোগ তুলেছেন খোদ আসানসোল পুরনিগমের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তথা ওই ওয়ার্ডের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য কমিটির সভাপতি সি কে রেশমা রামকৃষ্ণণ।

প্রাইমারি স্কুল ইন্সপেক্টরের কাছে ও আসানসোল উত্তর থানায় ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন কাউন্সিলর। তিনি জানিয়েছেন, ‘কাদরী স্যারে’র কাছেই রাখা ছিল ব্যাঙ্কের পাসবুক এবং চেকবুক। টাকার অঙ্ক লিখে নিয়ে এলেই দেখে সই করে দিতেন কাউন্সিলর। তাঁর অভিযোগ, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পরিমাণ টাকার অঙ্ক লিখে আনা হত। এভাবেই লক্ষ লক্ষ টাকা নিজের হস্তগত করেছেন বলে অভিযোগ ওই তৃণমূল নতার বিরুদ্ধে। কাউন্সিলর আরও দাবি করেছেন, এক সময় ৩৬ হাজার ২৫০ টাকার একটি চেকে সই করেছিলেন তিনি। পরে সেই চেকে লেখা সংখ্যার আগে ২ বসিয়ে নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এমন ঘটনা একাধিকবার ঘটেছে বলে অভিযোগ।

এদিকে, অভিযুক্ত শিক্ষক তথা তৃণমূল নেতা সৈয়দ আলম কাদরীকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “এ ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই। স্কুল পরিদর্শক কাগজপত্র, ব্যাঙ্কের পাসবুক নিয়ে যেতে বলেছেন। শুক্রবার জমা দেব।”

এই অভিযোগ প্রসঙ্গে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস কাউন্সিলর গুলাম সরবর। তিনি বলেন, তৃণমূল দলটাই দুর্নীতিগ্রস্ত। যে কাউন্সিলর এতদিন পর এই অভিযোগ আনছেন, তাঁরও গাফিলতি আছে। মহকুমা প্রাইমারি স্কুল পরিদর্শক সন্দীপ কুনরা জানিয়েছেন, তিনি অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত শুরু করা হয়েছে।