AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

TMC: নীতীশের জয়ে শুভেচ্ছাবার্তা তৃণমূল সাংসদের! বেজায় অস্বস্তিতে বঙ্গের শাসকদল

TMC: সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, "নীতীশকে শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিয়েছেন, কে? না, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গী শত্রুঘ্ন সিনহা। পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে, বিজেপির সঙ্গী নীতীশ কুমার, তাঁকে প্রশংসা করছেন শত্রুঘ্ন, হয়তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই হয়ে।"

TMC: নীতীশের জয়ে শুভেচ্ছাবার্তা তৃণমূল সাংসদের! বেজায় অস্বস্তিতে বঙ্গের শাসকদল
নীতীশ কুমারকে শুভেচ্ছা শত্রুঘ্ন সিনহারImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Nov 17, 2025 | 10:24 AM
Share

আসানসোল: বিহারে নীতীশের জয়! আর সেই জয়ে আপ্লুত বাংলার তৃণমূল সাংসদ। ‘বিহারিবাবু’ শত্রুঘ্ন সিনহার শুভেন্দু নীতীশ কুমারকে। তাঁর কথায়, বিহারের সব থেকে ভদ্র ও প্রশংসিত রাজনৈতিক নীতীশ। এদিকে, শত্রুঘ্নর শুভেচ্ছাবার্তায় বেজায় অস্বস্তিতে তৃণমূল। তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতিও। বিজেপি-তৃণমূলের সেটিংয়ের অভিযোগে সোচ্চার বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, ‘দল বিড়ম্বনায় পড়ে এমন মন্তব্য করা উচিত নয়।’

এক্স হ্যান্ডলে আসানসোলের সাংসদ লেখেন, যে সরকার বিহারবাসীর পাওয়ার কথা ছিল, যাকে ভোট দিয়েছে, সেই সরকারই পেয়েছে বিহারবাসী।  ওই পোস্টটিতে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্য রাজনীতিকদেরও ‘ট্যাগ’ করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, অতি সম্প্রতি ন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শত্রুঘ্নকে রাজ্য সরকারের তরফে ‘বঙ্গবিভূষণ’ সম্মানে সম্মানিত করা হয়। তারপরই আবার তিনি বিভিন্ন বিশেষণে ভরিয়ে দিলেন বিজেপি-র শরিক প্রার্থীকেই। স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জনের অবকাশ রাখেনি।

সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “নীতীশকে শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিয়েছেন, কে? না, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গী শত্রুঘ্ন সিনহা। পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে, বিজেপির সঙ্গী নীতীশ কুমার, তাঁকে প্রশংসা করছেন শত্রুঘ্ন, হয়তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই হয়ে।”

বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, “শত্রুঘ্ন সিনহা অনেক দলই করেছেন। তিনি একজন অভিনেতা, রাজনীতিবিদ নন। তিনি হয়তো নিজের মনের কথা বলেছেন। বিহারের লোক বিহারের ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়েই করেছেন।”

বিষয়টিতে বেজায় অস্বস্তিতে তৃণমূল। ড্যামেজ কন্ট্রোলে তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “দলের প্রথম সারির মুখ, আমার বক্তব্যের কী অভিঘাত হবে, সেটা বোঝা উচিত। এমন মন্তব্য কখনই করা উচিত নয়, যেটায় দল বিড়ম্বনায় পড়ে। কোনও মন্তব্য করার আগে দলের কর্মীদের ভাবাবেগের দিকে তাকানো উচিত। ”

বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গঠন, নীতীশের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগই ভোটবাক্সে প্রভাব ফেলতে পারল না। সত্তরের দশকের জেপি আন্দোলন থেকে রাজনৈতিক জীবনের শুরু। সেই নীতীশই পরবর্তী সময়ে বিহারের সবচেয়ে বড় সময়ের জন্য মুখ্যমন্ত্রী থেকেছেন। বিহার জয়ের পর বঙ্গ বিজেপি উজ্জীবিত হয়েছে। বাংলার বিধানসভার বাইরেও লাড্ডু বিলি করেছেন বিজেপি নেতারা। উড়েছে গেরুয়া আবির। শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদারের স্লোগান তুলেছেন, ‘অঙ্গ-কলিঙ্গের পর এবার বঙ্গ!’ এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের তরফ থেকেও পাল্টা আওয়াজ তোলা হয়েছে, ‘বাংলার মাটি আলাদা’, ‘কিংবা বেল পাকলে কাকের কী!’ বাংলার শাসকনেতৃত্ব সমানে এটাই বুঝিয়েছেন, বিহারের জয়ের কোনও প্রভাবই বাংলায় পড়বে না। সেখানে দলেরই সাংসদ ‘বিহারীবাবু’র এই শুভেচ্ছাবার্তা স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তি বাড়িয়েছে।