West Bengal Election 2021 Phase 7: ধসে মাটিতে মিশেছে বাড়ি, একরত্তির হাতেও প্ল্যাকার্ড ‘ঘর নাই ভোট নাই’
ভোট (West Bengal elections 2021) দিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করার উদ্দেশ্যই হল, সামাজিক নিরাপত্তাটুকু সুনিশ্চিত করা।
পশ্চিম বর্ধমান: খনি এলাকা হওয়ায় ধস নামা নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা আসানসোলের (Asansole) বিস্তীর্ণ এলাকায়। কখনও কখনও সেই ধস মাথার ছাদও কেড়ে নেয়। যেমন কেড়েছে রানিগঞ্জ বিধানসভার হরিশপুরের বাসিন্দাদের। তাঁদের অভিযোগ, বারবার প্রশাসন ও ইসিএলকে জানালেও কোনও কাজ হয়নি। তারই প্রতিবাদে এবার ভোট বয়কট করলেন গ্রামের ১২০০-এর বেশি ভোটার।
অভিযোগ, গত বছর জুন মাসে ভয়ঙ্কর ধসের কবলে পড়ে হরিশপুর। গ্রামের প্রায় ৩০টি পাকাবাড়ি একেবারে ভেঙে যায়। আরও ২০০টির কাছাকাছি বাড়িতে বড়সড় ফাটল দেখা দেয়। ফলে নিজের বাড়িতে থাকা কার্যত হাড়িকাঠে গলা দিয়ে বসে থাকার সমান। যে কোনও সময় প্রাণ সংশয় হতে পারে।
গ্রামের এমন বহু মানুষ আছেন, যাঁরা অন্যত্র বাড়ি ভাড়া করে থাকছেন। কিন্তু সকলের পক্ষে তো প্রতি মাসে অতগুলো টাকা ভাড়া গোনা সম্ভব নয়। তাঁরা ঝুঁকির জীবনই কাটাচ্ছেন। তাপস গোপ, অর্চনা গোপদের অভিযোগ, প্রশাসনের কাছে বারবার স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন তাঁরা। রাস্তা আটকে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন। কিন্তু ইসিএল বা প্রশাসন কোনও কথাই কানে তোলেনি। তিমিরেই রয়ে গিয়েছেন এলাকার মানুষ।
আরও পড়ুন: ভোটের দুপুরে শালপাতায় গরম গরম ডাল, ভাত, পাঁঠার ঝোল! কাঠগড়ায় মমতা!
এলাকার মানুষের প্রশ্ন, ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করার উদ্দেশ্যই হল, সামাজিক নিরাপত্তাটুকু সুনিশ্চিত করা। সেটা যদি না-ই মেলে তা হলে আর রোদে তেতে, ঘামে ভিজে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে হবেটা কী। তাই একুশের বিধানসভা ভোটকে বয়কটই করেছে হরিশপুর। ভোটের দুপুরে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে পথে নেমেছে গোটা গ্রাম, ‘ঘর নাই ভোট নাই। ঘর ভেঙেছ ঘর দাও।’
আরও পড়ুন: ‘ভোটার কার্ড দেখাতেই আমাকে বলে ইউ আর ডেড!’, ভোট দিতে না পেরে ক্ষোভে ফুঁসছেন চুরাশির বৃদ্ধ