Asansol Case: দিনভর তরুণীর সঙ্গে গেস্ট হাউজের ঘরে; রাতেই বাড়িতে ফোন, ‘তাড়াতাড়ি আসুন, ছেলে হাসপাতালে’…
Asansol: রাহুল সিং হীরাপুর থানার রামবাঁধ এলাকার বাসিন্দা। এদিকে তাঁকে উদ্ধার করা হয় আসানসোল দক্ষিণ থানার চেলিডাঙা এলাকায় একটি গেস্ট হাউজ থেকে।
আসানসোল: আসানসোলের একটি গেস্ট হাউজ থেকে উদ্ধার হল যুবকের ঝুলন্ত দেহ। এই ঘটনা ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পুলিশের দাবি, ওই যুবকের সঙ্গে গেস্ট হাউজে এক তরুণী ছিলেন। এদিকে নিহতের পরিবারের দাবি, যদি কোনও মেয়ে সঙ্গে থাকে, তা হলে এই ঘটনার পর থেকে কেন তাঁর কোনও খোঁজ নেই। নিহতের পরিবারের দাবি, এই মৃত্যু আত্মহত্যা নয়, অন্য রহস্য লুকিয়ে আছে। শুক্রবার রাতের এই ঘটনায় শনিবারও উত্তপ্ত ছিল আসানসোল দক্ষিণ থানা এলাকা। রাহুল সিং নামে ওই যুবকের দেহ যে গেস্ট হাউজে পাওয়া যায়, শনিবার তার সামনে দাঁড়িয়েই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁর বাড়ির লোকেরা। আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। যদিও ওই গেস্ট হাউজের কারও কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
রাহুল সিং হীরাপুর থানার রামবাঁধ এলাকার বাসিন্দা। এদিকে তাঁকে উদ্ধার করা হয় আসানসোল দক্ষিণ থানার চেলিডাঙা এলাকায় একটি গেস্ট হাউজ থেকে। পরিবারের দাবি, শুক্রবার দুপুরে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন রাহুল। কিন্তু বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা এমনকী রাত হলেও বাড়ি ফেরেননি। পরিবার এ নিয়ে উদ্বেগে ছিল। এরই মধ্যে রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ পরিবারকে জানায় রাহুলের দেহ আসানসোল জেলা হাসপাতালে রয়েছে।
রাহুলের দিদি রূপালি সিং জানান, “রাত সাড়ে ১০টায় দক্ষিণ থানা থেকে একটা ফোন আসে। বলা হয়, ভাই সরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তাড়াতাড়ি বাড়ির লোককে আসতে বলে। শুনেই আমার মা, আমার দিদি ছুটে যায়। গিয়ে দেখে ভাই লাশকাটা ঘরে শোওয়ানো। আমরা আজ সকালে ওই গেস্ট হাউজে যাই। এখানে কোনও ক্যামেরা নেই, সকলের আধার কার্ড নেওয়া হয়েছে একমাত্র আমার ভাইয়েরটাই নেওয়া হয়নি। কোনও তথ্য নেই, ম্যানেজারও নেই। সকলে বলছে, একটা মেয়ের সঙ্গে এসেছিল। পুলিশ বলছে ভাইয়ের সঙ্গে একটা মেয়ে ছিল। তা হলে ওই মেয়ে কোথায় গেল? আমরা চাই যে মেয়ের কথা বলা হচ্ছে, তাকে সামনে আনা হোক। গেস্ট হাউজের ম্যানেজারও সামনে আসুক। ভাইকে নিয়ে মর্গে ঢুকিয়ে দিল, অথচ একবার বাড়িতে জানাল না?”
রূপালির কথায়, “আমার একটাই ভাই। আমরা এর বিচার না নিয়ে ছাড়ব না। গেস্ট হাউজের কাছে কোনও কাগজ নেই, কোনও রেজিস্ট্রেশন নেই। সিসিটিভির ফুটেজও দেখাতে পারছে না।” তাঁদের দাবি, রাহুলকে খুন করা হয়েছে। তারপরই ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: Bagtui Massacre: ভিডিয়ো: বারুদের স্তূপে দাঁড়িয়ে বাংলা, একের পর এক বিস্ফোরণ, আকাশ ছেয়ে গেল ধোঁয়ায়