AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Cyclone Montha Effect: ‘ধান তো পেকেই এসেছিল’, কী হবে এবার! মাথায় হাত কৃষকদের

Cyclone Montha: মঙ্গলবার সন্ধেয় অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে ঘূর্ণিঝড় মন্থা আছড়ে পড়ার পর ঝড় ও বৃষ্টির জেরে সে রাজ্যে স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত হয়। উপকূলবর্তী কোনাসীমা জেলায় একটি বাড়িতে গাছ ভেঙে পড়ে এক বৃদ্ধা প্রাণ হারিয়েছেন। শক্তি হারিয়ে এই ঝড় ছত্তীসগঢ় ও বিহারের দিকে সরে যেতে পারে। তবে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলার একাধিক জেলায় শুক্রবার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

Cyclone Montha Effect: 'ধান তো পেকেই এসেছিল', কী হবে এবার! মাথায় হাত কৃষকদের
উল্টে গিয়েছে ধানImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Oct 29, 2025 | 2:31 PM
Share

ঘাটাল: সাইক্লোন মন্থার প্রভাব এ রাজ্যে সরাসরি পড়েনি ঠিকই, তবে যা বৃষ্টি শুরু হয়েছে, তাতে কৃষকদের মাথায় হাত পড়েছে। একাধিক জেলা জুড়ে চলছে বৃষ্টি। আর সেই বৃষ্টির ফলে ধান চাষে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন কৃষকেরা। একদিকে কৃষকদের দাবি ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির ফলে মাঠের কাঁচা ও পাকা ধান পড়ে গিয়েছে মাটিতে। অন্যদিকে, পিছিয়ে যাবে আলু চাষ। ফলে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনার কৃষকেরা।

পশ্চিম মেদিনীপুর মূলত কৃষিপ্রধান এলাকা। কৃষিকাজের উপর নির্ভর করে বহু মানুষের জীবন-জীবিকা চলে। আর এই সময় মাঠে রয়েছে পাকা ধান। সেই ধান তোলার আগেই শুরু হয়ে গেল মন্থার তাণ্ডব। আকাশ জুড়ে কালো মেঘ, আর সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় কপালে চিন্তার ভাঁজ কৃষকদের মধ্য। কৃষকদের দাবি ইতিমধ্যেই মাঠে উল্টে পড়ে গিয়েছে পাকা ও কাঁচা ধান। এর ফলে সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ধান চাষ। পিছিয়ে যাবে আলু চাষও।

এদিন এক কৃষক বলেন, “ধান পাকতে শুরু করেছে। আর কয়েকদিন পরই তোলা হবে। তার আগে এভাবে মন্থার জন্য সব উল্টে গেল। বিরাট ক্ষতি হল। সেই সঙ্গে ফসলের দামও খুব বেশি নয়। সারা বছর কীভাবে চলবে বুঝতে পারছি না।”

মঙ্গলবার সন্ধেয় অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে ঘূর্ণিঝড় মন্থা আছড়ে পড়ার পর ঝড় ও বৃষ্টির জেরে সে রাজ্যে স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত হয়। উপকূলবর্তী কোনাসীমা জেলায় একটি বাড়িতে গাছ ভেঙে পড়ে এক বৃদ্ধা প্রাণ হারিয়েছেন। শক্তি হারিয়ে এই ঝড় ছত্তীসগঢ় ও বিহারের দিকে সরে যেতে পারে। তবে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলার একাধিক জেলায় শুক্রবার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার দুপুর থেকেই কলকাতায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। মৎস্যজীবীদেরও সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ৩১ তারিখ পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি হবে। আর কার্তিক মাসে এই ভারী বৃষ্টির ফলে পাকা ধান নষ্টের আশঙ্কা করছেন সারা রাজ্যের কৃষকেরা।