Daspur School: DA আন্দোলন মঞ্চে যোগ দিয়েছিলেন, ফিরে এসে স্কুলেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার শিকার দর্শনের শিক্ষক

Daspur School: মাধ্যমিক এবং একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রেও চাপানো হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এমনকি কয়েক দিন স্কুলে এলেও হাজিরা খাতায় সই পর্যন্ত করতে দেওয়া হয়নি বলেও দাবি।

Daspur School: DA আন্দোলন মঞ্চে যোগ দিয়েছিলেন, ফিরে এসে স্কুলেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার শিকার দর্শনের শিক্ষক
দর্শন বিভাগের শিক্ষক (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 21, 2023 | 11:29 AM

পশ্চিম মেদিনীপুর: ডিএ আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় স্কুল কর্তৃপক্ষের রোষের মুখে স্কুলের শিক্ষক। মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। শিক্ষা দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর দাসপুর থানার বরুণা সৎসঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। ঘটনা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১০ই মার্চ সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে স্বচ্ছ নিয়োগ,প্রাপ্য ডিএ সহ একাধিক ইস্যুতে ধর্মঘটের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন এই স্কুলের দর্শন বিভাগের শিক্ষক অষ্টম বেরা। অভিযোগ, তারপর থেকেই স্কুলে তিনি বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার হচ্ছেন তিনি। অভিযোগ, স্কুলে কার্যত এক ঘরে করে রাখা হয়েছে তাঁকে। ক্লাস নিতে দেওয়া তো দূর অস্থ, ছাত্রদেরও তাঁর সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। নিজের স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগে রাশ টানা হয়েছে ইতিমধ্যেই। মাধ্যমিক এবং একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রেও চাপানো হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এমনকি কয়েক দিন স্কুলে এলেও হাজিরা খাতায় সই পর্যন্ত করতে দেওয়া হয়নি বলেও দাবি শিক্ষকের। অভিযোগের তির প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির দিকে। মানসিকভাবে বিধ্বস্ত অষ্টম।

শিক্ষকের বক্তব্য, তার প্রতি এই দুর্ব্যবহারের বিষয়ে শিক্ষা বিভাগের এডিআই-এর কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে তিনিও লিখিত অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেন। মেলের মাধ্যমে ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানালেও সেখান থেকেও কোনওরকম সাড়া মেলেনি। অন্যদিকে স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ওই শিক্ষক ধর্মঘটের দিন কেন উপস্থিত ছিলেন না সেটা জানার জন্য ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি এমনকি আগে থেকে কোনও সূচনাও দেননি।

ধর্মঘটের পরের দিন ওই শিক্ষক কাজে যোগ দিতে গিয়ে স্কুলের তরফে জানানো হয় প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলতে। ম্যানেজিং কমিটির নির্দেশে ওই শিক্ষককে সাময়িকভাবে বিদ্যালয়ের সমস্তকাজ থেকে বিরত রাখা হয়েছে। অন্যদিকে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সুকুমার বেরা বলেন, “ওই শিক্ষক ছাত্র ছাত্রীদের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হয়, এমন একাধিক কাজ করে চলেছেন দীর্ঘদিন ধরে। স্কুলের স্বার্থে তাঁকে পরীক্ষার কাজে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।”

যদিও যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে (এবিটি এর) সদস্য তথা সুমন ঘোষের দাবি, “শিক্ষকের প্রতি স্বৈরাচারী মনোভাব দেখাচ্ছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক, আমরা অষ্টমের পাশে আছি।” এমনকি, আন্দোলনের মাধ্যমে এর মোকাবিলা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

যদিও এ বিষয়ে ঘাটাল মহকুমা শিক্ষা দফতর আধিকারিক, অ্যাডিশন্যাল এডিআই মানবেন্দ্র ঘোষ বলেন, “আমরা একটি মেইল মাধ্যমে অভিযোগ পেয়েছি, স্কুল কর্তৃপক্ষকে আমরা নির্দেশ দেব বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য।” যদিও স্কুলের এই ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় পড়ে গিয়েছে শোরগোল।