AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘যদি ত্রিপুরার মতো দিল্লিতেও ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হয়?’ টিপ্পনী দিলীপের

Dilip Ghosh: যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তৃণমূল শিবির অবশ্য একে মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বলছেন। যা নিয়ে পাল্টা দিলেন দিলীপও।

'যদি ত্রিপুরার মতো দিল্লিতেও ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হয়?' টিপ্পনী দিলীপের
ফাইল ছবি
| Edited By: | Updated on: Aug 18, 2021 | 10:22 PM
Share

পশ্চিম মেদিনীপুর: বুধবার কনভয় নিয়ে ফের বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাঁতন এলাকায় যাচ্ছিলেন দিলীপবাবু। বিকালে মনোহরপুর এলাকার কাছে তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরেন স্থানীয়রা। গাড়ি আটকে তীব্র বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তৃণমূল শিবির অবশ্য একে মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বলছেন। যা নিয়ে পাল্টা দিলেন দিলীপও।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপের মন্তব্য, এমন ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ যদি ত্রিপুরাতে হয়, দিল্লিতেও যদি এমন এমন ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে, বাংলার বাইরে বেরবেন তো তৃণমূল নেতারা? কলকাতার বাইরে যাবেন না?

উল্লেখ্য, এদিন বিক্ষোভের মুখেও অবশ্য ঠান্ডা মাথায় পুরো ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করতে দেখা যায় দিলীপ ঘোষকে। একবার তাঁর গাড়ির সামনে স্লোগান তুললে স্মিত হেসে দিলীপ হাত নেড়ে বলেন, ‘কী হয়েছে?’ এদিকে ভিড় থেকে প্রশ্ন উঠে আসে ‘তিন বছর দেখতে পাইনি কেন আপনাকে?’, ‘গো ব্যাক,’ ‘বিজেপি দূর হঠো’ ইত্যাদি স্লোগান। যদিও এর পর নির্বাকার ভঙ্গিতে গাড়িতে বসে থাকেন দিলীপ। পরে গাড়ি ঘুরিয়ে নিয়ে চলে যান তিনি।

এ নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া, “মণ্ডল কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। যাঁদের ওপর অত্যাচার হয়েছে, বাড়ি ঘরদোর ভেঙেছে, চাষ বন্ধ হয়েছে। আমি যাচ্ছিলাম। বাজারের সামনে চার পাঁচজন লোক গাড়ির সামনে চেঁচামেচি শুরু করে। গাড়িকে আটকায়। আমরা দাঁড়িয়ে যাই। তার পর আশেপাশের লোককে জোর করে ডেকে নিয়ে আসে। লোক দাঁড়িয়ে দেখছিল। তাদের বলল এসো। তার পর স্লোগান, গালাগালি…চুপচাপ ছিলাম। একজন সাংবাদিককেও মারা হয়।”

যদিও এই বিক্ষোভকে মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন দাঁতনের তৃণমূল বিধায়ক বিক্রম প্রধান। তাঁর কথায়, দিলীপবাবু রাজ্য সরকারের দুয়ারে সরকার কর্মসূচিকে যমের দুয়ারে সরকার বলে ব্যঙ্গ করেন। তাই সাধারণ মানুষই তাঁকে আটকেছে। যার প্রেক্ষিতে মেদিনীপুরের সাংসদের টিপ্পনী, “জানি তো। জানি কারা ছিল ওখানে। আমি ঝগড়া করতে আাসিনি। আগামী দিনে আবার যাব। তবে ত্রিপুরাতে যেমন বহিঃপ্রকাশ দেখাচ্ছে (ক্ষোভ), তেমনি দিল্লিতেও যদি এমন বহিঃপ্রকাশ হয়, তাহলে ওনারা কোথায় যাবেন? বাংলার বাইরে বেরবেন না তৃণমূল নেতারা? কলকাতার বাইরে যাবেন না?”

দিলীপবাবুর দাবি তিনি, অশান্তি চাননি তাইঅ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে উত্তেজনা না বাড়িয়ে ফিরে যান। বলেন, “আমাদেরই লোক সব। কিছু জন এসব করেই খাচ্ছে। নেতাগিরি দেখাচ্ছে। তবে বলছি রাজনীতি করতে এসেছেন, করুন। তবে গণতান্ত্রিক ভাবে।” আরও পড়ুন: ‘বাপরে এত দাম!’ আধার সংশোধনের মূল্য শুনে আঁধার দেখছেন বোলপুরবাসী