Ram-Laxman: মেদিনীপুরে যেন ‘নতুন রামায়ণ’, লক্ষণের বেদম মারে হাসপাতালে রাম
Ram-Laxman: মঙ্গলবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুরের বালিচকের হামিরপুর এলাকায় দুই ভাইয়ের মধ্যে জমি-জমা নিয়ে বিবাদ একেবারে সপ্তমে ওঠে। শুরু হয়ে যায় উতপ্ত বাকবিতণ্ডা। মুহূর্তের মধ্যে সেই ঝগড়া মারামারির আকার নেয়। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।

বালিচক: রাম অন্ত প্রাণ! দাদার জন্য প্রাণ দিতে কখনও পিছুপা হননি। লক্ষ্মণের বীরগাঁথার কত কথা আজও অমর হয়ে আছে রামায়ণের পাতায়। ভ্রাতৃত্বের দৃষ্টান্ত তৈরি করেছিলেন রাম নিজেও। ভাই-ভাইয়ে ভালবাসার সেই গল্প আজও অমর হয়ে আছে আপামর ভারতবাসীর মনে। কিন্তু, মেদিনীপুরে একেবারে অন্য ছবি। লক্ষ্মণের মার খেয়ে হাসপাতালে ছুটতে হল রামকে। ভালবাসা তো দূর, জমি জায়গা নিয়ে বিবাদ এমন জায়গায় পৌঁছল যে শেষ পর্যন্ত হাতাহাতি লেগে যায় দুই ভাইয়ের মধ্যে।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুরের বালিচকের হামিরপুর এলাকায় দুই ভাইয়ের মধ্যে জমি-জমা নিয়ে বিবাদ একেবারে সপ্তমে ওঠে। শুরু হয়ে যায় উতপ্ত বাকবিতণ্ডা। মুহূর্তের মধ্যে সেই ঝগড়া মারামারির আকার নেয়। অভিযোগ, দাদা রামকে এমন মার মারেন ভাই লক্ষ্মণ যে একেবারে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। পরিবারের লোকজনই রামকে দ্রুত উদ্ধার করে ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ইতিমধ্যেই রামের পরিবারের সদস্যরা ডেবরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের। ঘটনায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে এলাকায়। রামের পরিবারের লোকজন লক্ষ্মণের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন।





