Medinipur Medical: হাসপাতালে রোগী, বাইরে থেকে ওষুধ কিনে দিতে হচ্ছে, একের পর এক ছবি ধরা পড়ল মেদিনীপুর মেডিক্যালে
Medinipur Medical: মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেও ওষুধের জোগানে ঘাটতির অভিযোগ। নরমাল স্যালাইন থেকে শুরু করে বেশিরভাগ ওষুধ, অ্যান্টিবায়োটিক হাসপাতলে ভর্তি থাকা রোগীর পরিজনদের কিনতে হচ্ছে বাইরে থেকে। সামর্থ্য না থাকলেও উপায় নেই। দাবি রোগীর পরিজনদের।

মেদিনীপুর: হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন রোগী। বাইরে অপেক্ষায় পরিজনরা। ডাক্তারবাবু রোগী দেখার পরই ডাক পড়ছে পরিজনদের। কারণ, ডাক্তাররা যে ওষুধটা লিখে দিচ্ছেন, তা কিনে আনতে হচ্ছে বাইরের দোকান থেকে। এমনই অভিযোগ উঠছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে। এই নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন তাঁরা। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেই অভিযোগ খারিজ করে বলছে, একটা-দুটো এমন ঘটনা ঘটলেও হাসপাতালে ওষুধের জোগানে ঘাটতি নেই।
পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালসের পর ইমপেক্স ফার্মা নামে আরও এক ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার ১৭টি ওষুধ ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজে ওই ওষুধ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এরপরই একের পর এক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ওষুধ সংকটের ছবি। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেও ওষুধের জোগানে ঘাটতির অভিযোগ। নরমাল স্যালাইন থেকে শুরু করে বেশিরভাগ ওষুধ, অ্যান্টিবায়োটিক হাসপাতলে ভর্তি থাকা রোগীর পরিজনদের কিনতে হচ্ছে বাইরে থেকে। সামর্থ্য না থাকলেও উপায় নেই। দাবি রোগীর পরিজনদের।
পবিত্র দাস নামে এক রোগীর পরিজন বলেন, “বিনামূল্যে শুধু চিকিৎসকরা দেখছেন। আর হাসপাতালে বেড পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু, বেশিরভাগ ওষুধ হাসপাতালের বাইরে থেকে কিনে এনে দিতে হচ্ছে। ডাক্তারবাবুরা শুধু ওষুধ লিখে দিচ্ছেন। সব স্যালাইন বাইরে থেকে কিনে আনতে হচ্ছে।”
আর এক রোগীর আত্মীয় বলছেন, “আমরা গরিব মানুষ। সমস্যায় পড়ছি। স্যালাইন ও ইঞ্জেকশন কিনে আনছি বাইরে থেকে।”
রোগীর পরিজনরা যখন বাইরে থেকে ওষুধ কিনে আনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন, তখন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার ইন্দ্রনীল সেন বলছেন, “আমাদের সব ওষুধের পর্যাপ্ত জোগান রয়েছে। মাঝে সরবরাহের সমস্যার জন্য জোয়ার ভাটার মতো একটু ওঠানামা করতেই পারে। এটা কোনও ঘটনা নয়। অল্টারনেটিভ ওষুধ চলে এসেছে। এত বড় হাসপাতালে একটা দুটো ঘটনা ঘটতে পারে।” তাহলে একের পর এক রোগীর পরিজনদের কেন বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে হবে? সেই প্রশ্নের জবাব পাওয়া যায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে।





