Ghatal Flood Situation: মা-বাবা তখনও ঘুমোচ্ছিলেন! ঘরের হাঁটু সমান জলে ভাসছে চার বছরের ছেলের শরীরটা
Ghatal Flood Situation: মনে করা হচ্ছে, ভোরে ঘুম ভেঙে যাওয়ায় খাট থেকে নেমে পড়েছিল শিশুটি। তারপরই জলস্তর বাড়ায় ডুবে যায়।
পশ্চিম মেদিনীপুর: ভোরে ঘুমিয়েছিলেন বাবা-মা! পাশ থেকে ছেলে উঠে কখন যে খাট থেকে নেমে পড়েছেন, টের পাননি ওঁরা। যখন বাবা-মায়ের ঘুম ভাঙল, তখন দেখেন ঘরের মেঝেতে হাঁটু সমান জল। ছেলে নেই পাশে। বারান্দায় গিয়ে দেখছেন জলে ভাসছে ছেলের দেহ! বানভাসি ঘাটালে ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা। বাড়ির ভিতরেই জলে ডুবে মৃত্যু হল চার বছরের শিশুর। মর্মান্তিক ঘটনা বানভাসি ঘাটালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের গম্ভীরনগর এলাকায়।
গম্ভীরনগর এলাকায় মাটির বাড়ি দম্পতির। তাঁদের এক মাত্র সন্তান রাতে তাঁদের কাছেই ঘুমিয়েছিলেন। এদিকে, জলস্তর বাড়ায় ঘরেও বাড়ে জলের পরিমাণ। পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মা দেখেন ছেলে পাশে নেই। বুক কেঁপে ওঠে তাঁর। স্বামীকেও ডেকে তোলেন। ছেলে তখন বারান্দার জলে ভাসছে। তখনই তাঁকে উদ্ধার করে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিত্সকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মনে করা হচ্ছে, ভোরে ঘুম ভেঙে যাওয়ায় খাট থেকে নেমে পড়েছিল শিশুটি। তারপরই জলস্তর বাড়ায় ডুবে যায়। ভেসে ওঠে তার দেহ। মর্মান্তিক ঘটনায় শোকস্তব্ধ গোটা গ্রাম। বৃষ্টি কমলেও বিভিন্ন নদীর জলস্তর বাড়ায় ঘাটালের পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে।
ঘাটালের মনসুকা চড়কতলা এলাকায় নদী গর্ভে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে দোতলা পাকা দোকান বাড়ি।বাড়ির মালিকের নাম রতন মন্ডল। ওই বাড়ির নীচেই রয়েছে একাধিক দোকান। শুক্রবার সকালে নতুন করে ঝুমি নদীর জলস্তর বাড়তে শুরু করে। জল উপচে দোকান লাগোয়া রাস্তায় ঢুকে পড়ে আর তখনই জলে তোড়ে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ওই পাকা বাড়িটি। যদিও সেসময় বাড়ির ভিতর কেউ ছিলেন না। তাই প্রানহানির ঘটনা এড়ানো গিয়েছে।
ন্দ্রকোনায় শিলাবতী নদীর জলে প্লাবিত ১ ও ২ নম্বর ব্লকের একাধিক গ্রাম। চন্দ্রকোনার খামার বেড়া গ্রামে শিলাবতী নদীর বাঁধ ভেঙ্গে নতুন করে প্লাবিত ১০ টি গ্রাম। ঘাটালের পরিস্থিতিও সঙ্কটজনক। ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা। বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও আবার জল বাড়তে শুরু করে। অজয় নদীর বাঁধ ভাঙার ফলে জলের তলায় নানুরের বাসপাড়া এলাকা। বোলপুর – নতুনহাট রাজ্য সরকের উপর উঠে পড়েছে জল।
শিলাবতী নদীর জল ছাপিয়ে ঢুকে পড়েছে মাটির বসতবাড়িতে। ভেঙে পড়ছে একাধিক মাটির বাড়ি। চন্দ্রকোণা ২ নম্বর ব্লকের বসনছোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক গ্রাম প্লাবিত। রাধানগর গ্রামের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। আবারও জল ছাড়লে বিপদ কোথায় পৌঁছবে? প্রহর গুনছেন গ্রামবাসীরা।
আরও পড়ুন: Weather Update: বানভাসি দক্ষিণ, পুজোর আগে আবহাওয়ার উন্নতি না অবনতি? মিলল আভাস
আরও পড়ুন: Local train:শান্তিপুর লোকাল ট্রেনের মধ্যেই প্রসব বেদনা মহিলার! ‘দাইমা’ হয়ে উঠলেন সহযাত্রীরাই