Group C: ১২ হল ৫২, ভাইয়ে চাকরি যেতেই ফরেন্সিক পরীক্ষার দাবি রাজ্যের মন্ত্রীর

Group C: এবার চাকরি বাতিল ইস্যুতে এসএসসি (SSC)-র বিরুদ্ধে সরব হলেন মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাত। সেই সঙ্গে ওএমআর সিটের ফরেনসিক পরীক্ষার দাবি করলেন মন্ত্রী।

Group C: ১২ হল ৫২, ভাইয়ে চাকরি যেতেই ফরেন্সিক পরীক্ষার দাবি রাজ্যের মন্ত্রীর
শ্রীকান্ত মাহাত, মন্ত্রী (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 18, 2023 | 3:42 PM

পশ্চিম মেদিনীপুর: সম্প্রতি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কলমের আঁচড়ে গ্রুপ-সি থেকে চাকরি গিয়েছে শালবনীর বিধায়ক তথা ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতর ভাই খোকন মাহাতর। তারপর থেকেই লাগাতার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল মন্ত্রী ও তাঁর ভাইকে। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, প্রভাব খাটিয়েই চাকরি মন্ত্রী তাঁর ভাইকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন। যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এবার চাকরি বাতিল ইস্যুতে এসএসসি (SSC)-র বিরুদ্ধে সরব হলেন মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাত। সেই সঙ্গে ওএমআর সিটের ফরেনসিক পরীক্ষার দাবি করলেন মন্ত্রী।

শনিবার মেদিনীপুর শহরে তৃণমূলের পার্টি অফিসে সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাত বলেন, “ভাই ওই নম্বর কোনও ভাবেই পাবে না। হার্ড কপি প্রশ্নপত্র মিলিয়ে দেখা হোক। এসএসসি-র ত্রুটি বিচ্যুতির শিকার হয়েছে ও। ওরা পাঁচ বছর ধরে চাকরি করছে। এসএসসি তো সেই সময় তালিকা প্রকাশ করতে পারত। বা চ্যালেঞ্জ করতে পারত। গোপন রেখে কোয়ালিফায়েড করে দিল, তারপর ইন্টারভিউও ডেকে দিল,কম্পিউটার টেস্টও করে নিল। আবার চাকরিও দিয়ে দিল। আর পাঁচ বছর পরে বলছে তোমার নম্বর ভুল! দুরকম কথা বার্তা হচ্ছে না?”

এখানেই শেষ নয়, তিনি বলেন, “পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রণোদিত হয়ে কাজ করছে এসএসসি।” এমনকী পরেশ অধিকারীর মেয়ের উদাহরণ টেনে এনে সাম্প্রতিক সময়ে আদালতের একাধিক রায় নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের মন্ত্রী। উচ্চ-আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন। বলেন, “আদালতে বিচার চলছে। আমরা উচ্চ আদালতে মামলা করতে চাইছি। এই সব প্রচার করে আমার নামে বদনাম করার চেষ্টা চলছে। আমি মনে করি এটা ঠিক না। আইন আইনের পথেই চলবে। যদি ত্রুটি বিচ্যুতি থাকে তাহলে চাকরি যাবে। চূড়ান্ত বিচার এখনও হয়নি। স্বাভাবিক ভাবেই বিচার বিবেচনা দেখার দরকার আছে।”

তৃণমূল নেতা বলেন, “বিচার বিশ্লেষণ পর্বে যদি কোনও ত্রুটি বিচ্যুতি ধরা পড়ে তখন কী হবে? অথচ মানুষটার সেই সময় অপপ্রচার করে যেভাবে বদনাম করে দেওয়া হল, পরবর্তীতে যদি দেখা যায় তাঁর নম্বরটাই ঠিক। তখন ভাল মানুষদের ক্ষেত্রে কার্যক্রমটা অন্য জায়গায় পৌঁছে যাবে। আমার মনে হয়, সঠিক পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অপপ্রচার করা ঠিক নয়।”

এসএসসির ভুল ধরিয়ে শ্রীকান্ত মাহাত বলেন,”চাকরি দিয়ে বাতিল করছে। আগেই কেন প্রকাশিত এসএসসি? একটা বড় ভুল,অন্যায় হয়েছে। দুদফায় ৮৪২ জনকে চাকরি থেকে বাতিল করল। ওএমআর সিট প্রকাশ করল। তাতে দেখা যাচ্ছে কারোর কারোর ফাঁকা আছে। এটা কেমন ধরনের চেকিং? কেমন করে লিস্ট তৈরি হল? এটা মানহানি তৈরি হচ্ছে। চাকরি পাবে কি যাবে সেটা আদালতের ব্যাপার কিন্তু মাঝখানে যে কলাকৌশল তৈরি করছে। সবাই যে ত্রুটি করেছে তা নয়। ফ্রেশদের বলি দেওয়া হচ্ছে। রাজনীতির শিকার হচ্ছে।”