Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Salboni-Jindal: কয়েক হাজার কোটি বিনিয়োগের ঘোষণা জিন্দলদের, সেই শালবনীতে মাথা তুলবে নতুন শিল্প!

Salboni-Jindal: ২০০৮ সালের নভেম্বরে প্রস্তাবিত সেই কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ফেরার পথে ল্যান্ডমাইন হামলার মুখে পড়ে তাঁর কনভয়। এরপর মাওবাদী-পর্বের সূত্রপাত।

Salboni-Jindal: কয়েক হাজার কোটি বিনিয়োগের ঘোষণা জিন্দলদের, সেই শালবনীতে মাথা তুলবে নতুন শিল্প!
শালবনীতে শিল্পের ঘোষণাImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 06, 2025 | 5:19 PM

শালবনী: তৈরি হবে কারখানা। শিল্প ঘিরে বাড়বে রোজগার। আর একবার আশায় বুক বাঁধছেন শালবনীর বাসিন্দারা। বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে জিন্দলদের ঘোষণায় বাড়ছে সম্ভাবনা। শালবনীতে ‘পাওয়ার প্লান্ট’ বা বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করার কথা ঘোষণা করেছেন সজ্জন জিন্দল। প্রায় ৬,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে। আর তাতেই আশা দেখছেন এলাকার মানুষজন।

আগেও একাধিকবার শিল্পের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রূপায়িত হয়নি কোনোটাই। এলাকার মানুষ চান এবার অন্তত শিল্প হোক। শিল্পের জন্য নেওয়া জমিতে গড়ে উঠুক প্লান্ট।

প্রায় দেড় দশক আগে অর্থাৎ বাম আমলে শালবনীতে প্রায় ৪ হাজার ৩০০ একর জমি দেওয়া হয়েছিল জিন্দল গোষ্ঠীকে। বড় ইস্পাত কারখানা গড়ার জন্য নেওয়া হয়েছিল ওই জমি। ২০০৮ সালের নভেম্বরে প্রস্তাবিত সেই কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ফেরার পথে ল্যান্ডমাইন হামলার মুখে পড়ে তাঁর কনভয়। এরপর মাওবাদী-পর্বের সূত্রপাত।

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেই সময় ইস্পাত কারখানা তৈরির পরিকল্পনা বাতিল করে জিন্দলরা। পরিবর্তে সিমেন্ট কারখানা তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০১৮ সালে সেই কারখানার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে জমির অনেকটাই এখনও পড়ে রয়েছে। জিন্দলদের দেওয়া জমির প্রায় ৮০ শতাংশই ‘অব্যবহৃত’ অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

জিন্দল গোষ্ঠীকে যে জমি দেওয়া হয়েছিল, তার বেশিরভাগই সরকারি জমি। কিছু জমি অধিগ্রহণ করতে হয়েছিল। প্রায় ৪৯০ জন ওই জমি দিয়েছিলেন, এর মধ্যে ৮৪৯.০২ একর জমি ব্যবহার করা হয়েছে। জামবেদিয়া-সহ ন’টি মৌজায় বিস্তৃত রয়েছে এই জমি। বাকি ৩২৫২.৯৫ একর জমি ‘অব্যবহৃত’ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এলাকার বাসিন্দারা চান, সেখানেই গড়ে উঠুক নতুন কারখানা। সেটা হলে, কর্মসংস্থান বাড়বে বলেই মনে করছেন তাঁরা।