Bijoya Dashami: দশমীতে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে চা-ঘুগনি-মুড়ি বিক্রি বিধায়কের
Bijoya Dashami: ঘাটাল সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ড এলাকায় মানুষকে চা ঘুগনি মুড়ি বিক্রি করতে দেখা গেল এলাকার বিধায়ককে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন এলাকার বিজেপি কর্মীরা।
ঘাটাল: “চা, ঝালমুড়ি, ঘুগনি নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন, বিক্রি তো হবেই, চাহিদাও খুব বাড়বে।” কিছুদিন আগে খড়্গপুরের চাকরির নিয়োগপত্র বণ্টন অনুষ্ঠানে এসে এ কথা বলেছিলেন রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। এবার খোদ মমতার সেই পরামর্শ মেনে বিজয় দশমীতে (Bijoya Dashami) বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে চা, ঘুগনি মুড়ি বিক্রি করলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট (BJP MLA from Ghatal)। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপি নেতা সুমিত দাস
ঘাটাল সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ড এলাকায় মানুষকে চা ঘুগনি মুড়ি বিক্রি করতে দেখা গেল এলাকার বিধায়ককে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন এলাকার বিজেপি কর্মীরা। এদিন পথ চলতি মানুষ থেকে শুরু করে পুলিশ কর্মীদেরও লাড্ডু খাওয়ালেন তিনি। বিজেপি বিধায়কের দোকানে দেখতে পাওয়া গেল একাধিক প্ল্যাকার্ড। তাতে লেখা “দিদির অনুপ্রেরণায় শিক্ষিত যুবক সমাজের ভবিষ্যৎ। আমায় ঘুগনি করে দাও মা, বেচব পুজোর প্যান্ডেলে”। একেবারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে এই অভিনব প্রতিবাদ নজর কেড়েছে সাধারণ মানুষের।
এদিকে এদিনের কর্মসূচি নিয়ে বলতে গিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা আক্রমণ শানিয়ে ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট বলেন, “বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কথা মতোই আমরা ঘুগনি মুড়ি চা বিক্রি করছি। তাঁর নির্দেশেই দুর্গাপূজা উপলক্ষে আমরা এই কাজ শুরু করেছি। কিন্তু, হাজার টাকা নিয়ে ব্যবসা করতে নেমে বুঝতে পারছি কোটিপতি হতে পারব না। মুখ্যমন্ত্রীর কথা মত সমস্ত শিক্ষিত যুবকরা যদি মাঠে নেমে ঘুগনি মুড়ি বিক্রি করে তাহলে ঘুগনি মুড়ি কিনবে কে!” কয়েকদিন আগেই আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলা বিজেপি সাংগঠনিক ১০ নম্বর মণ্ডলের পক্ষ থেকে শালকুমার বাজারে ঝাল মুড়ি বিক্রি করতেল দেখা গিয়েছিল বিজেপি কর্মীদের। তার আগে মুখ্যমন্ত্রীর ‘অনুপ্রেরণায়’ পৌরসভার সামনে ঝালমুড়ির দোকান দিতে দেখা গিয়েছিল উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের বিজেপির (BJP) কাউন্সিলারদের।