Daspur: পুজোর প্রসাদ খেয়ে অসুস্থ প্রায় ১৫০ জন, গ্রামে বসল মেডিক্যাল ক্যাম্প! ব্যাপক শোরগোল দাসপুরে
Paschim Medinipur: পরিস্থিতি যে কিছু সময়ের মধ্যে ভয়াবহ হয়ে ওঠে সেই আঁচ পায় প্রশাসন। দাসপুর ১ এর বিডিও দীপঙ্কর বিশ্বাস রাত থেকেই অসুস্থদের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এলাকায় বসে যায় মেডিক্যাল ক্যাম্প।

দাসপুর: পাড়ায় ছিল বারোয়ারি মনসা পুজো। গ্রামবাসীদের দাবি সেই পুজোর প্রসাদ খেয়েই অসুস্থ প্রায় দেড়শো জন। গ্রামে ঢুকল মেডিক্যাল টিম। ছুটলেন ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা। ব্যাপক চাঞ্চল্য দাসপুর থানার সুরতপুর গ্রামে। শনিবার রাত থেকে প্রায় সবারই শুরু হয়ে গিয়েছে বমি, পায়খানার সমস্যা। অসুস্থদের মধ্যে প্রচুর মহিলা ও শিশুরাও রয়েছে। রবিবার সকাল থেকেই বসেছে মেডিক্যাল ক্যাম্প।
গ্রামের বিশাল পাড়া এলাকায় এই মনসা পুজো হয়ে আসছে বেশ কয়েক বছর ধরে। শনিবার রাতে পুজো কমিটির তরফ থেকে ভক্তদের জন্য খিচুড়ি ভোগের আয়োজন করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, প্রায় তিনশো জনেরও বেশি মানুষ এই প্রসাদ খান। সুরতপুরে পাশাপাশি পাশের গ্রাম খড়দা বিষ্ণুপুর ও রূপনারায়ণপুর গ্রামেরও বেশকিছু মানুষ এই পুজোয় যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রসাদ খেতে না খেতেই অর্ধেকেরই বেশি মানুষেরই বমি, পায়খানার সমস্যা শুরু হয়ে যায়। রাতভর ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা যায় এলাকায়।
পরিস্থিতি যে কিছু সময়ের মধ্যে ভয়াবহ হয়ে ওঠে সেই আঁচ পায় প্রশাসন। দাসপুর ১ এর বিডিও দীপঙ্কর বিশ্বাস রাত থেকেই অসুস্থদের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এলাকায় বসে যায় মেডিক্যাল ক্যাম্প। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা চলছে। কারও অবস্থার অবনতি হলেই অসুস্থদের পাঠানো হচ্ছে হাসপাতালে। সকালে গ্রামে গিয়ে সরেজমিনে পরিস্থিতি দেখেন দাসপুর ১ এর বিডিও দীপঙ্কর বিশ্বাস। ছুটে যান দাসপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকুমার পাত্র, যান রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান উপপ্রধানও। ইতিমধ্যেই ৫ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি এলাকা থেকে জলের নমুনও সংগ্রহ করা হয়েছে। সেখানে কোনও সমস্যা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে দাসপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকুমার পাত্র যদিও বলছেন, আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সব অসুস্থদেরই চিকিৎসা চলছে।
