RG Kar: ‘পেশেন্টের চাদরের তলায় লুকিয়েছিল পুলিশ, যাওয়ার সময় ৫০০ টাকা দিয়ে গেল’, বুধবার মধ্যরাতের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা আরজি করের ছাত্রীর মুখে
RG Kar Student: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুরের বাসিন্দা ওই নার্সিং পড়ুয়া বুধবার রাতের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে বাড়ি ফিরে যান বৃহস্পতিবার সকালেই। সন্ধ্যায় দাসপুরে একটি প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হন তিনি। পরে বুধবার রাতের অভিজ্ঞতার কথা বলেন প্রকাশ্যে।
ঘাটাল: গত এক সপ্তাহ ধরে উত্তপ্ত আরজি কর হাসপাতালে পরিস্থিতি। আন্দোলন- বিক্ষোভে অশান্ত হাসপাতাল চত্বর। তবে বুধবার রাতে যা ঘটল, তা ভাবতেও পারেননি আরজি করের চিকিৎসক, পড়ুয়ারা। হাজার হাজার লোক ব্যারিকেড উল্টে ঢুকে পড়ল হাসপাতালে। আতঙ্কে দৌড়ে প্রাণ বাঁচালেন চিকিৎসক, কর্মী থেকে সাংবাদিকরা। আর এই ঘটনার পরই তড়িঘড়ি বাড়ি ফিরে গিয়েছেন আরজি করের নার্সিং-এর ছাত্রী।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুরের বাসিন্দা ওই নার্সিং পড়ুয়া বুধবার রাতের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে বাড়ি ফিরে যান বৃহস্পতিবার সকালেই। সন্ধ্যায় দাসপুরে একটি প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হন তিনি। পরে বুধবার রাতের অভিজ্ঞতার কথা বলেন প্রকাশ্যে।
ওই নার্সিং ছাত্রী বলেন, আরজি করের এমনই অবস্থা যে নিরাপদ বোধ করতে পারছিলাম না ওখানে। ওপেন থ্রেট দেওয়া হচ্ছে। তারপর আর কীভাবে থাকব। বুধবার রাতের ঘটনা প্রসঙ্গে ওই ছাত্রী বলেন, প্রায় তিন হাজার লোক কাল রাতে ভিতরে ঢুকে যায়, পুলিশ ভয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ নিরাপত্তা দেবে কী! ওরা নিজেদের বাঁচাতে ব্যস্ত ছিল। পুলিশ পেশেন্টের চাদরের ভিতরে লুকিয়ে ছিল। সকালে আবার ৫০০ টাকা দিয়েও গিয়েছে পেশেন্ট পার্টিকে।
কীভাবে প্রাণে বাঁচলেন, সে কথা বলতে গিয়ে ওই ছাত্রী বলেন, বাথরুমের মধ্যে লুকিয়ে ছিলাম আমরা। আমাদের দরজা ধাক্কা দিয়ে দুষ্কৃতীরা বলতে হুমকি দিতে থাকে। আমাদের কোনও নিরাপত্তা ছিল না।
ওই ছাত্রী আরও দাবি করেন, যেদিন হাসপাতালে চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়, সে দিন একজন ছাত্রীকে ডিউটিতে পাঠানো হয়েছিল ওই জায়গায়। ফোন পর্যন্ত নিয়ে নেওয়া হয়েছিল তাঁর। আপাতত পরিস্থিতি ঠিক না হওয়া পর্যন্ত আরজি করে ফিরতে চান না ওই ছাত্রী।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)