AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Ghatal: পুলিশের গাড়ির হর্নে বিয়েবাড়িতে হুলস্থুল, ছাদনাতলা থেকে আদালতে বর-কনে-পুরোহিত

Ghatal: পুলিশ আসার খবর পাওয়া মাত্রই ওই বাড়ি থেকে সকলে পালিয়ে যান। তবে পালাতে পারেননি পাত্র সুরেন্দ্র, পুরোহিত স্বপন চক্রবর্তী ও নাবালিকা।

Ghatal: পুলিশের গাড়ির হর্নে বিয়েবাড়িতে হুলস্থুল, ছাদনাতলা থেকে আদালতে বর-কনে-পুরোহিত
| Edited By: | Updated on: Sep 20, 2022 | 6:03 PM
Share

ঘাটাল: শেষ হয়েছিল আয়োজন। বাজছে সানাই। বাড়ির সর্বত্র আত্মীয়-স্বজনদের ভিড়। নতুন জামাকাপড় পরে ইতিউতি ছোটাছুটি করছে বাচ্চারা। গোটা বাড়িজুড়েই যেন উৎসবের মেজাজ। তখন সবে বসেছিল বিয়ের (Marriage) আসর। সলজ্জ ভঙ্গিতে বরের দিকে তাকিয়ে কনে। বিয়ের সাজে বসে পুরোহিতের বলে দেওয়া মন্ত্রোচারণ করে চলেছেন হবু বর। এদিকে চেনা বিয়ের আসরের এই পরিচিত ছবি মুহূর্তেই বদলে গেল একটা খবর। শোনা গেল পুলিশের গাড়ির সাইরেন। সকলের চোখেমুখে স্পষ্ট ভয়ের ছাপ। শুরু হয়ে গেল হুড়োহুড়ি। পালাতে লাগালেন নিমন্ত্রিত অতিথিরা। বিয়েই তো হচ্ছিল তবে কেন সবাই পেলেন ভয়? কেনই বা ছুটে পালানেন বিয়ের আসর থেকে? আর কেনই বা এল পুলিশ (Police)? উত্তর খুঁজতে চলে যেতে হবে ঘাটাল আদালত চত্বরে।  

মঙ্গলবার ঘাটাল আদালত চত্বরে যেতেই দেখা গেল উপচে পড়া ভিড়। আদালতে নিয়ে আসা হয়েছে এক বরবেশী এক যুবককে। সঙ্গে পুরোহিত। অভিযোগ এই পুরোহিতের হাত ধরেই এক নাবালিকার সঙ্গে বিয়ে হয়ে যাচ্ছিল ওই যুবকের। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই তাঁদের একেবারে বিয়ের আসর থেকে তুলে আনে পুলিশ। কিন্তু, আদালতে তোলার পর কী রায় দেয় আদালত সে বিষয়ে চাপানউতর তৈরি হচ্ছিল গোটা এলাকাতেও। এদিন আদালতে উৎসুক জনতার চোখেমুখেও স্পষ্ট কৌতূহল। শেষ পর্যন্ত সমস্ত সওয়াল জবাব শেষে  পাত্র ও পুরোহিতের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। নাবালিকাকে পাঠানো হল তার বাবা-মায়ের কাছে। 

ঘটনার সূত্রপাত সোমবার রাতে। সূত্রের খবর, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল থানার অফিসার ইনচার্জ দেবাংশু ভৌমিক জানতে পারেন ঘাটাল থানার মনসুকা গ্রাম পঞ্চায়েতের বরকতিপুর বাসিন্দা সুজিত মণ্ডলের বাড়িতে এক নাবালিকা মেয়ের বিয়ে হচ্ছে। খবর পাওয়া মাত্রই ছুটে যায় পুলিশ। পুলিশ গিয়ে দেখতে পায় পায় খানাকুল থানার পাঁচকুঠুরি গ্রামের বাসিন্দা সুরেন্দ্র দলুইয়ের (২৬) সঙ্গে বিয়ে হচ্ছে ওই নাবালিকার। তাঁদেরই ঘাটালের বরকতিপুর গ্রামের আত্মীয়দের বাড়িতে গোপনে বসেছিল বিয়ের আসর। রাতের অন্ধকারেই বিয়ে সারতে করা হয়েছিল তোড়জোড়। 

এদিকে পুলিশ আসার খবর পাওয়া মাত্রই ওই বাড়ি থেকে সকলে পালিয়ে যান। তবে পালাতে পারেননি পাত্র সুরেন্দ্র, পুরোহিত স্বপন চক্রবর্তী ও নাবালিকা। তাঁদের সকলকেই আটক করে রাতেই থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পুলিশের দাবি একাধিকবার নাবালিকা মেয়ের বিয়ে বন্ধের জন্য সচেতনমূলক প্রচার চালানো হলেও অনেক সময়েই স্থানীয়রা তাতে কর্ণপাত করছেন না। তবে এ ঘটনায় নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।