Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Paschim Medinipur: সাপ ধরতে গিয়ে খেল কামড়, হাসপাতালে না গিয়ে বাড়িতে ঝাড়ফুঁক! বেঘোরে প্রাণ গেল ওঝার

Pascim Medinipur: সাপে কামড়ালে এখনও গ্রাম বাংলার একটা বড় অংশে কোথাও গঙ্গাজল বেলপাতা দিয়ে চলে ঝাড়ফুঁক, কোথাও আবার মাদুলি সহযোগে চলে সাপের বিষ ঝাড়ার কাজ। অ্যান্টিভেনামের থেকে এখনও তেলপোড়া-জলপোড়াতেই বিশ্বাস রয়েছে বড় অংশের মানুষের।

Paschim Medinipur: সাপ ধরতে গিয়ে খেল কামড়, হাসপাতালে না গিয়ে বাড়িতে ঝাড়ফুঁক! বেঘোরে প্রাণ গেল ওঝার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 22, 2022 | 12:27 AM

চন্দ্রকোনা: গ্রাম-বাংলায় এখনও সাপের কামড়ালে হাসপাতালের (Hospital) বদলে ওঝার বাড়ি আক্রান্তকে নিয়ে যেতে পছন্দ করেন একটা বড় অংশের মানুষ। কোথাও গঙ্গাজল বেলপাতা দিয়ে চলে ঝাড়ফুঁক, কোথাও আবার মাদুলি সহযোগে চলে সাপের বিষ ঝাড়ার কাজ। অ্যান্টিভেনামের (Antivenom Injection) থেকে এখনও তেলপোড়া-জলপোড়াতেই বিশ্বাস রয়েছে বড় অংশের মানুষের। কিন্তু, সাপের বিষ নির্মূল করার জন্য মানুষের বিশ্বাস থাকে যে ওঝাদের উপর সেই রকমই এক ওঝার মৃত্যু হল সাপের কামড়ে। রবিবার ঘটনাটি ঘটে চন্দ্রকোনা ২ ব্লকের কুঁয়াপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুঁয়াপুর এলাকায়। সূত্রের খবর, আক্রান্ত ওঝা সাপের কামড় খাওয়ার পর হাসপাতালে না গিয়ে বাড়িতে নিজেই গাছগাছড়া দিয়ে ওষুধ বানিয়ে চিকিৎসা চেষ্টা করেন। ততক্ষণে সাপের বিষ শরীরে ছড়িয়ে পড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি।

সূত্রের খবর, মাছ ধরার জালে আটকে ছিল সাপ। সেই সাপ উদ্ধার করতে গিয়েই মৃত্যু হল ওঝার। খবর চাউর হতেই প্রথমে তাঁকে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। হাসপাতালে যাওয়ার পথেই আরও কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি ওঝার। পুনরায় তাঁকে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যেই তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঘাটালে পাঠানো হয়েছে।

রবিবার ঘটনাটি ঘটে চন্দ্রকোনা ২ ব্লকের কুঁয়াপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুঁয়াপুর এলাকায়। মৃত ব্যক্তির নাম গনেশ বাগাল। সূত্রের খবর, রবিবার সকালে ওই এলাকায় একটি মাঠে মাছ ধরার জালে আটকে ছিল একটি বিষধর গোখরো সাপ। আর সেই সাপ ধরতে গিয়ে ঘটে বিপত্তি। বিষধরটি কামড়ে দেয় গনেশ বাগালের হাতে। এদিকে সাপের কামড় খেয়েও চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে না গিয়ে বাড়ি ফিরে নিজেই গাছগাছড়া দিয়ে ওষুধ বানিয়ে চিকিৎসা করার চেষ্টা শুরু করেন গনেশ। এদিকে ততক্ষণ সাপের বিষ গোটা শরীরে ছড়িয়ে যায়। ধীরে ধীরে অচৈতন্য হয়ে পড়তে থাকেন তিনি।  

তাঁর অবস্থার অবনতি দেখা তাঁর পরিবারের সদস্যরা ও এলাকাবাসীরা তাঁকে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখানকার চিকিৎসকরা তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। সূত্রের খবর, চন্দ্রকোনা হাসপাতাল থেকে মেদিনীপুর নিয়ে যাওয়ার পথে কিছু এগোতেই গাড়িতেই আরও কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি ওই ব্যক্তির। এরপর পুনরায় তাঁকে ফিরিয়ে আনা হয় চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ডাক্তাররা। এরপরই চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়।