TMC Party Office: তৃণমূলের পার্টি অফিসে ‘মেয়ে নিয়ে আড্ডা, মদ-জুয়ার আসর’, বিস্ফোরক দলেরই কাউন্সিলর
Kharagpur: কাউন্সিলর জানান, পাড়ার লোকজনও এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। তাঁরাই তাঁকে বিষয়টি জানান।
মেদিনীপুর: দলীয় কার্যালয় কার হাতে থাকবে, তা নিয়েই তৃণমূলের অন্দরে গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ উঠল। খড়গপুর শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে সুভাষপল্লিতে তৃণমূলের একটি পার্টি অফিস আছে। সেটি দীর্ঘদিন ধরে দলেরই যুবরা চালায়। এদিকে ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের অভিযোগ, এই পার্টি অফিসে সমস্তরকম অসামাজিক কাজকর্ম চলে। মেয়েদের নিয়ে আড্ডা, মদ-জুয়ার আসর বাদ যায় না কিছুই। তার প্রতিবাদ করায় কল্যাণী ঘোষ নামে ওই কাউন্সিলরকে খড়গপুর শহরের তৃণমূল সভাপতি হুমকিও দেন বলে অভিযোগ। যা ঘিরে এই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। যদিও শহর সভাপতি সমস্ত অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়ে জানান, ওই কাউন্সিলর সমস্ত কিছু কুক্ষিগত করতে চান। সে কারণেই মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন।
খড়গপুরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কল্যাণী ঘোষ। তিনি আগে কংগ্রেস করতেন। ২০১৭ সাল থেকে তৃণমূলে রয়েছেন। এবার ভোটে তাঁকে দল প্রার্থী করে। ভোটে জেতেনও। কিন্তু এরপরই দলের একাংশের সঙ্গে তাঁর বিবাদ শুরু হয় বলে অভিযোগ। কল্যাণী ঘোষের কথায়, “আমাদের সুভাষপল্লিতে যুব তৃণমূল একটা দলীয় কার্যালয় খুলেছে। প্রায় দেড় বছর হল এটা খোলা হয়েছে। নামেই পার্টি অফিস। কিন্তু এর মধ্যে যত রকমের অসামাজিক কাজকর্ম রয়েছে, সবই চলে। নোংরামো চরমে উঠেছে এখানে। মেয়েদের নিয়ে বসে আড্ডা থেকে শুরু করে মদ, জুয়া সমস্ত কিছুই চলে।”
কাউন্সিলর জানান, পাড়ার লোকজনও এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। তাঁরাই তাঁকে বিষয়টি জানান। কল্যাণী ঘোষের কথায়, “আমাকে এলাকার লোকজন বলেন, ‘আপনি এখানে এসে নিয়মিত বসুন। তা হলে এগুলো কমবে’। সেই জন্য আমি ওখানে গিয়েছিলাম শুক্রবার। তৃণমূল কার্যালয় বলে একটি ব্যানারও লাগাই। এরপরই রাতে ব্যানারটা ছিঁড়ে ফেলা হয়।”
ব্যানার ছেঁড়ার পাশাপাশি খড়গপুরের শহর সভাপতি দীপেন্দু পাল তাঁকে হুমকি দেন বলেও দাবি কাউন্সিলরের। এভাবে হুমকির রাজনীতি চললে কীভাবে সংগঠন চালাবেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কল্যাণী ঘোষ। যদিও তাঁর এই অভিযোগ মানতে নারাজ দীপেন্দু পাল। তিনি বলেন, “উনি আসলে কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে এসেছেন। উনি যখন তৃণমূলে যোগ দেননি তার অনেক আগে থেকে যুবরা এই কার্যালয়টা চালায়। কাউন্সিলর বলছেন, দলীয় কার্যালয়ে অসামাজিক কাজ হয়। এ কথার কোনও বাস্তব ভিত্তিই নেই। উনি যে কতটা তৃণমূলের তা নিয়েও আমাদের সন্দেহ আছে। কারণ, উনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যানার নামিয়ে দিয়েছেন। দিদির অফিসে ফ্লেক্স নামিয়ে নিজের কর্তৃত্ব ফলাতে গেলে এটা তো মানা যায় না।”
আরও পড়ুন: Duare Ration: কোনওভাবেই সম্ভব নয়, ‘দুয়ারে রেশন’ নিয়ে এবার দিল্লিতে ডিলাররা