Manoj Tigga : ‘PAC-কে গুরুত্বহীন করে দিচ্ছে শাসক দল’, একের পর এক বৈঠকে মুকুলের অনুপস্থিতিতে বিরক্ত পদ্ম শিবির
Public Accounts Committee: বিজেপি বিধায়ক প্রশ্ন তোলেন, পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (পিএসি) আদৌ গুরুত্ব আছে? না কি শুধুই প্রথা বজায় রাখা? তা না হলে কেন কমিটির বৈঠকে বেশিরভাগ সময়ে চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকেন?
প্র দী প্ত কা ন্তি ঘো ষ
পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির বৈঠকে চেয়ারম্যান মুকুল রায়ের অনুপস্থিতি নিয়ে ফের রাজ্যকে একহাত নিলেন বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়। “যে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (Public Accounts Committee) নিয়ে এত নাচানাচি, যা নিয়ে এত দড়ি টানাটানি সেই পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি এমন করেছে শাসক দল, যে কোনও কোরাম না। চেয়ারম্যান দিনের পর দিন অনুপস্থিত থাকছেন। এই সরকার সব কিছুতেই দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছে, সেখানে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু তা গুরুত্বহীন করে দিচ্ছে শাসক দল।” শুক্রবার রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে এমনটাই অভিযোগ তুললেন বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড হওয়া বিধায়ক মনোজ টিগ্গা। বিজেপি বিধায়ক প্রশ্ন তোলেন, পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (পিএসি) আদৌ গুরুত্ব আছে? না কি শুধুই প্রথা বজায় রাখা? তা না হলে কেন কমিটির বৈঠকে বেশিরভাগ সময়ে চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকেন? বিজেপি নেতার বক্তব্য, দুর্নীতির ভয় পাচ্ছে সরকার, তাই এই অবস্থা।
উল্লেখ্য, পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটিরি চেয়ারম্যান মুকুল রায়ের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে একটি জটিলতা তৈরি হয়েছিল সাম্প্রতিককালে। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের পদাধিকার বলে সেই মামলার শুনানি করেছিলেন। কিন্তু বিধানসভায় সেই মামলার রায় খুব একটা মন মতো হয়নি বিজেপির। প্রথাগতভাবে, পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদে বসানো হয় বিরোধী দলের কোনও বিধায়ককে। সেই মতো বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়কে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদে বসানো হয়। কিন্তু বিজেপির টিকিটে জিতে আসা বিধায়ক মুকুল রায়ের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পদ্ম শিবির। ভোটের পর মুকুলকে তৃণমূল ভবনে দেখা গিয়েছিল মমতা, অভিষেকদের সঙ্গে। এমনকী বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গেও দেখা গিয়েছিল। বিজেপি দাবি করে, তিনি দল বদলেছেন। যদিও বিধানসভায় সেই দাবি মান্যতা পায়নি।
পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান মুকুল রায় অবশ্য নিজের শারীরিক অসুস্থতার কথা বারবার উল্লেখ করেছেন। শুক্রবারও পিএসির বৈঠকে অনুপস্থিত থাকলেন তিনি। এবার বৈঠকে এলেন না কমিটির ৫০ শতাংশ সদস্যও। হল না কোরাম। এদিনের বৈঠকে ছিলেন আট জন সদস্য। নিয়মানুসারে, কমিটির মোট সদস্য সংখ্যার ৫০ শতাংশ সদস্যকে উপস্থিত থাকতে হয়। কিন্তু তা হল না। বিরোধীদের তরফে বারবার এই কমিটির গুরুত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। শুক্রবারের ঘটনায় সেই প্রশ্নের স্বপক্ষে আরও জোরাল হল বলেই মত রাজনীতির কারবারিদের অনেকের।
আরও পড়ুন : Anubrata Mandal: ‘একটু মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করছে’ সুগারের তোয়াক্কা না করেই উডবার্নে শুয়ে আবদার অনুব্রতর!