AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Burdwan Medical College: আমেরিকার সঙ্গে একাসনে বাংলা, বিরল ঘটনা বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে

Burdwan Medical College: মলয় সরকার ছাড়াও এস পি রায়চৌধুরী, দেবব্রত রায়, কৃষ্ণপদ দাস, অর্পিতা প্রামাণিক, শিশু বিভাগের চিকিৎসক মুকুট বন্দ্যোপাধ্যায়, সুমন্ত ঘোষ মৌলিকদের নিয়ে তৈরি হয়েছিল মেডিক্যাল টিম। তাঁরাই দেখভাল করেন ওই মহিলার। শেষে সাফল্য আসায় খুশি সকলেই।

Burdwan Medical College: আমেরিকার সঙ্গে একাসনে বাংলা, বিরল ঘটনা বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে
উচ্ছ্বসিত চিকিৎসকেরা Image Credit: TV-9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Nov 16, 2023 | 9:19 PM
Share

বর্ধমান: একদিন আগেই গিয়েছে শিশুদিবস। সেই শিশু দিবসেই বিরল ও অভিনব চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে অসাধ্যসাধন করে ফেলেছেন বর্ধমান মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকেরা। মনে করা হচ্ছে, তাঁদের হাতে ধরেই আমেরিকার সঙ্গে একাসনে নাম তুলে ফেলল বাংলা। ঠিক কী হয়েছে? পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুর থানার কুলীনগ্রামের বাসিন্দা পম্পা প্রামাণিক। কিন্তু, দেখা যায় সন্তানধারণের ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে তাঁর। সে কারণে ২০১৬ সালে টেস্ট টিউবের মাধ্যমেও মা হওয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি। কিন্তু, সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। দিনের পর দিন ঘুরেছেন মন্দিরে মন্দিরে, ঠাকুরের কাছে মাথা ঠুকেছেন। কিন্তু, কোল আলো করে আসেনি কোনও সন্তান। এরইমধ্যে ফের সন্তানধারণের চেষ্টা করেন তিনি। 

সূত্রের খবর, গর্ভবতী হওয়ার ১৭ সপ্তাহের মাথায় জুলাই মাসের ১১ তারিখ আচমকা রক্তক্ষরণ শুরু হয় তাঁর। তখনই তিনি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন। দেখা যায় তাঁর পেটে রয়েছে যমজ সন্তান। এদিকে ভর্তির দিন থেকেই দ্রুত তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। ২ জুলাই একটি মৃত সন্তান প্রসব করেন তিনি। তারপর থেকে পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হতে শুরু করে। এক মৃত সন্তানের জন্ম হলেও আর একজন নিয়ে চিন্তা বাড়তে থাকে চিকিৎসকদের। 

এ ঘটনার পর আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাননি ডাক্তাররা। তারপর থেকে টানা ১২৫ দিন হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন ওই মহিলা। ছিলেন চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে। ১২৬ দিনের মাথায় শিশুদিবসের দিন আরও একটি সন্তান প্রসব করেন ৪১ বছরের ওই মহিলা। শিশুটির ওজন ২ কেজি ৯০৬ গ্রাম। সুস্থ রয়েছেন দু’জনেই। ঘটনায় চিকিৎসক মলয় সরকার বলছেন, আগেজরায়ুতে একটি শিশুর মৃত্যু হয়ে যায়। ওই অবস্থায় আরও একটি শিশুর জন্ম রীতিমতো ঝুঁকির ছিল। সংক্রমণের ভয় ছিল। তাই আমাদের বিশেষ পর্যবেক্ষণে ছিলেন উনি। শেষে সিজার করে এসেছে সাফল্য। শিশু দিবসের দিনই আরও একটি সুস্থ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন উনি। 

প্রসঙ্গত, মলয় সরকার ছাড়াও এস পি রায়চৌধুরী, দেবব্রত রায়, কৃষ্ণপদ দাস, অর্পিতা প্রামাণিক, শিশু বিভাগের চিকিৎসক মুকুট বন্দ্যোপাধ্যায়,  সুমন্ত ঘোষ মৌলিকদের নিয়ে তৈরি হয়েছিল মেডিক্যাল টিম। তাঁরাই দেখভাল করেন ওই মহিলার। দীর্ঘ প্রচেষ্টার শেষে সাফল্য আসায় খুশি সকলেই। তাঁদের দাবি, ১৯৬৬ সালে আমেরিকার বাল্টিমোর শহরে এই ধরণের একটি ঘটনা ঘটেছিল। সে ক্ষেত্রে ৯০ দিন পর দ্বিতীয় শিশুটিকে সফলভাবে প্রসব করানো হয়েছিল। এই ঘটনা গিনেস বুকে রেকর্ড আছে। এবার যেন সেই ঘটনারই প্রতিচ্ছবি দেখা গেল বাংলার বুকে।