AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Burdwan University: তুমুল অশান্তি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে, এক পড়ুয়া বললেন, ‘রেজিস্ট্রার স্যর লবি করেন’

The University of Burdwan: ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল গত বৃহস্পতিবার। অভিযোগ, আইন বিভাগেরই একদল ছাত্র অন্যান্য পড়ুয়াদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। এমনকী শিক্ষক শিক্ষিকাদেরও প্রতিও অভব্য ব্যবহার করা হয়। এরপরই পড়ুয়াদের একাংশ বিভাগীয় প্রধানকে ঘেরাও করেন।

Burdwan University: তুমুল অশান্তি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে, এক পড়ুয়া বললেন, 'রেজিস্ট্রার স্যর লবি করেন'
উত্তপ্ত বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়Image Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Feb 08, 2024 | 7:06 AM
Share

বর্ধমান: আবার উত্তেজনা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে। আইন বিভাগের একাংশের পড়ুয়াদের ডেপুটেশনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল বুধবার। পাশাপাশি ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মী ও ছাত্রছাত্রীরা।

ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল গত বৃহস্পতিবার। অভিযোগ, আইন বিভাগেরই একদল ছাত্র অন্যান্য পড়ুয়াদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। এমনকী শিক্ষক শিক্ষিকাদেরও প্রতিও অভব্য ব্যবহার করা হয়। এরপরই পড়ুয়াদের একাংশ বিভাগীয় প্রধানকে ঘেরাও করেন। এমনকী লিখিত অভিযোগও জানানো হয় উপাচার্য,সহ-উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে। জানা গিয়েছে, অভিযোগ জানানোর পরও কোনও সুরাহা না হওয়ায় বুধবার ফের ছাত্রছাত্রীরা রেজিস্ট্রারের কাছে পৌঁছন। তখনই অশান্তি শুরু হয়।

ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ,স্মারকলিপি দিতে গেলে রেজিস্ট্রার ও নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের মারধর করে। ধাক্কা মারে। মুন্সি আশরাফুল করিম নামে এক পড়ুয়া বলেন, “রেজিস্ট্রার স্যর লবি চালাচ্ছেন। ওনার লবির একদল কার্যত পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট করছে। মেয়েদের গায়ে হাত দিচ্ছে। পড়াশোনা করতে দিচ্ছে না। নোটিস বোর্ড ভাঙছে। স্যর-ম্যামদের ক্লাস নিতে দিচ্ছে না। স্যর-ম্যামরাও বহুবার অভিযোগ করছেন। কোনও কাজের কাজ হয়নি। আজ আমরা আরও একবার নতুন করে অভিযোগ জানাতে এসেছিলাম।” যদিও, রেজিস্ট্রারের দাবি, একদল ছাত্রছাত্রী তাঁর ঘরে হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পরতে গেলে তিনি দরজা আটকে ধরেন। তা সত্ত্বেও বেশকিছু ছাত্রছাত্রী জোর করে তাঁর ঘরে ঢুকতে গেলে তিনিই ধাক্কা খান। সেই সময় নিরাপত্তাকর্মীরাই তাঁকে রক্ষা করেন। রেজিস্ট্রার সুজিত কুমার চৌধুরী বলেন, “আমার কাছে বিষয়টি খুব বেদনাজনক। আমি ওদের বলেছিলাম ভিতরে যেন পাঁচজন আসে। আমার নামে যা ইচ্ছা তাই বলছিল। আমি বাইরে এসে বলেছি পাঁচজনের বেশি ভিতরে কাউকে ঢোকানো যাবে না। কিন্তু ওরা সকলে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেন। নিরাপত্তারক্ষীরা না থাকলে অন্য ধরনের ঘটনা ঘটে যেতে পারত।” এই বিষয়ে উপাচার্য গৌতম চন্দ্র বলেন, “যেই সময় ঘটনাটি ঘটে তখন আমি ছিলাম না। তবে সমগ্র বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”