‘বাড়িতে এসে টিকা দিলে বাচ্চা নিয়ে চিন্তা হয় না’, দীর্ঘ লাইনে অপ্রাপ্ত টিকা, সমস্যায় মায়েরা
COVID Vaccination:টিকা নিতে নাম নথিভূক্ত করতে আসা মহিলাদের অভিযোগ, বাড়িতে ছোট বাচ্চা রেখেই রাতেরবেলা আসতে হচ্ছে টিকাকেন্দ্রে। কোলের বাচ্চাকে রেখে যাওয়া যাবে না বলে অনেকেরই পরিবারের অন্য সদস্যরা এসেছেন নাম লেখাতে।
পূর্ব বর্ধমান: ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের মায়েদের টিকাপ্রাপ্তিতে (COVID Vaccination) অগ্রাধিকারের কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মোতাবেক, কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে টিকা নিতে রাত থেকেই দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে মায়েরা। কারোর বাড়িতে ৮ মাসের বাচ্চা, কারোর বা ১ বছরের! তাতে কী! টিকা নিতে হলে লাইন দিয়ে নাম লেখাতেই হবে। তবেই মিলবে টিকা।
টিকা নিতে নাম নথিভূক্ত করতে আসা মহিলাদের অভিযোগ, বাড়িতে ছোট বাচ্চা রেখেই রাতেরবেলা আসতে হচ্ছে টিকাকেন্দ্রে। কোলের বাচ্চাকে রেখে যাওয়া যাবে না বলে অনেকেরই পরিবারের অন্য সদস্যরা এসেছেন নাম লেখাতে। অভিযোগ, লাইনে দাঁড়িয়েও মিলছে না টিকা। পরপর তিন দিন লাইন দিয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে এমন ঘটনাও ঘটছে বলেই অভিযোগ। এদিকে, বাড়িতে ছোট শিশুকে রেখে এসে রাত জেগে লাইনে দাঁড়ানোয় কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ছে বাড়ির মহিলাদের। তাঁদের দাবি, এই টিকাকরণের ব্যবস্থাই যদি বাড়ি-বাড়ি গিয়ে হয়, তাহলেই আর সমস্যা থাকে না। ছোট শিশুদেরও একা থাকতে হয় না।
টিকা নিতে (COVID Vaccination) এসে এক মহিলার কথায়, “বাড়িতে আমার এক বছরের ছোট ছেলে রয়েছে। শাশুড়ির কাছে রেখে এসেছি। যা লাইন পড়েছে তাতে সব সেরে যেতে যেতে কাল দুপুর গড়িয়ে যাবে। এভাবে কী সম্ভব! বাচ্চাটাকে এতক্ষণ কে দেখবে!” অন্যদিকে, নিজের পূত্রবধূর জন্য নাম নথিভুক্ত করতে আসা এক ব্যক্তির কথায়, “বৌমার কোল আট মাসের ছোট বাচ্চা। রেখে আসবে কী করে! সেইজন্য আমি এসে লাইন দিয়েছি। তিনদিন ধরে ঘুরছি। রোজই শুনছি ৬০ জনকে দেওয়ার পর আর দিচ্ছে না। এইভাবে কদিন আসব! বৌমাই বা আসে কী করে! আমিই আপাতত লাইন দিচ্ছি। পরে ডেকে পাঠাব। এর চেয়ে বাড়ি গিয়ে টিকা দিলে আর ঝামেলা থাকে না।”
কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার মোট ১২০ জনকে টিকা দেওয়া হবে। এরমধ্য়ে যেমন রয়েছেন ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের মা তেমনই রয়েছেন ৪৫ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিরা। তবে সকলে টিকা পাবেন কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, টিকার জোগান কম। ফলে খুব হিসেব কষেই টিকাকরণের (COVID Vaccination) কাজ চলছে। প্রসঙ্গত, ১২ বছর বয়স পর্যন্ত প্রত্যেক শিশুর মায়েদের দ্রুত টিকার আওতায় আনার প্রস্তুতি আগেই নিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য় দফতর। আসন্ন করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে যেহেতু শিশুদের সংক্রমণের আশঙ্কা সর্বাধিক, তাই আগেভাগে মায়েদের টিকাকরণ সেরে রাখতে চাইছে রাজ্য। কারণ, মায়েরা সুস্থ থাকলে শিশুরাও সুস্থ থাকবে। স্বাস্থ্য ভবন থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো, জুলাইয়ের গোড়া থেকেই ০-১২ বছর বয়সী শিশুদের মায়েদের টিকার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। আরও পড়ুন: ‘ত্রিপুরার বিজেপি আর বঙ্গের তৃণমূল পরস্পরের সমার্থক’, আলিমুদ্দিন ‘বিরোধী সুর’ অশোকের?