Kalna: যতকাণ্ড খণ্ডঘোষে! চাষির পাসবুক ভাড়া ৫০০ টাকা, লেনদেন হত লক্ষ লক্ষ

Kalna: খণ্ডঘোষের কালনা গ্রামে সমবায় সমিতির পাসবুকে ধরা পড়ছে লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতির অভিযোগ। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এই গ্রামেরই বাসিন্দা আমিনুল্লা হাজারি তাঁদেরকে নিয়ে গিয়ে সমবায় সমিতির ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলে দেন।

Kalna: যতকাণ্ড খণ্ডঘোষে! চাষির পাসবুক ভাড়া ৫০০ টাকা, লেনদেন হত লক্ষ লক্ষ
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেনImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 02, 2023 | 1:19 PM

পূর্ব বর্ধমান: সমবায় ব্যাঙ্কের মাধ্যমে বেআইনি লেনদেনের অভিযোগ। ধান বিক্রির নামে লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেনের অভিযোগ ওঠে। ২০১৮-২০১৯ সালের মধ্যে গ্রামবাসীদের অ্যাকাউন্টে লাখ লাখ টাকা ঢুকেছে। আর একই দিনে সেই টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে ধাপে ধাপে। কিন্তু যাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে, তাঁরা বিষয়টি সম্পর্কে কিছু বুঝতেই পারলেন না। বর্ধমানের খণ্ডঘোষে সমবায় ব্যাঙ্কের দুর্নীতির অভিযোগ।

খণ্ডঘোষের কালনা গ্রামে সমবায় সমিতির পাসবুকে ধরা পড়ছে লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতির অভিযোগ। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এই গ্রামেরই বাসিন্দা আমিনুল্লা হাজারি তাঁদেরকে নিয়ে গিয়ে সমবায় সমিতির ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলে দেন। পরবর্তী ক্ষেত্রে, ৫০০-২৫০ টাকার বিনিময়ে হতদরিদ্র গ্রাহকদের পাসবুক ভাড়া নেন আমিনুল্লা। দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের সদস্যরা ৫০০ টাকার লোভেই ওত কিছু না ভেবে পাসবই দিয়েও দেন। এরপর গ্রাহকরা দেখতে পান, অ্যাকাউন্টে লক্ষ লক্ষ টাকা ক্রেডিট হয়, তারপর একদিনই ধাপে ধাপে সেই টাকা তুলে নেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, এসবের মধ্যেই মৃত্যু হয় আমিনুল্লার। এখন তাঁর ছেলে আসাদুল্লা হাজারির কাছে গিয়ে জানা যায়, তিনিও নাকি এই কাজটা বাবার মৃত্যুর পর করতেন। তাঁর দাবি, তিনি এসবের কিছুই জানতেন না। কেবল তাঁর বাবার হয়ে কাজটা করতেন। তাঁর দাবি, চক্রান্ত করে তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। পরে চাপাচাপিতে তিনি স্বীকার করেন, তাঁর বাবার সঙ্গে স্থানীয় এলাকারই রাইস মিলের এক মালিকের যোগাযোগ ছিল। TV9 বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয় সেই নিউ সত্যনারায়ণ রাইস মিলের মালিকের সঙ্গে। তাঁর বক্তব্য, “আমার কোনও ভূমিকা নেই। সমিতি যে ধান দিত, সেই ধান ভাঙা হত। কী টাকার লেনদেন হচ্ছে, সে বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই।” তবে অভিযোগ উঠছে, এগুলো সেই চাল বিক্রির কালো টাকাই।

এ ব্যাপারে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, “গরিব মানুষরাই শিকার হচ্ছেন। মোদী যা করার চেষ্টা করছেন, তার পথে প্রধান অন্তরায় তৃণমূল। পাসবুক নিয়ে কী হত, সেটাই এবার খতিয়ে দেখতে হবে। কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে তদন্ত হোক। এরা তো চুনোপুঁটি, আসল মাথারা কলকাতায় বসে। ”

অন্যদিকে, তৃণমূল ব্লক সভাপতি অপার্থিব ইসলাম বলেন, “বিজেপি-সিপিএমকে অশেষ ধন্যবাদ। তারা তাদের বিরোধী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। মানুষের কাছ থেকে দূরে সরে গিয়েছেন। আর ওদের কিছু করার নেই। আইন আইনের পথে চলবে। যে জড়িত, আইন বুঝবে।”