Burdwan Jail: জেলে বসেই চলত ফোনে কথা! হাতেনাতে ধরল পুলিশ

Burdwan Jail: গত ২৩ শে মার্চ উপ সংশোধনাগারে কর্তব্যরত কর্মীরা তল্লাশি চালায়। তারাই একটি ছোট্ট মোবাইল ফোন উদ্ধার করে।

Burdwan Jail: জেলে বসেই চলত ফোনে কথা! হাতেনাতে ধরল পুলিশ
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 29, 2023 | 1:18 AM

বর্ধমান : জেলের মধ্যেই দুই বিচারাধীন বন্দির কাছে মিলল মোবাইল ফোন। কাটোয়া উপ সংশোধনাগারে তল্লাশি চালিয়ে বন্দির কাজ থেকে মোবাইল ফোনগুলি উদ্ধার করা হয়। আর এই ঘটনায় চিন্তার ভাঁজ পুলিশ প্রশাসনের কপালে। শুধু তাই নয় প্রশ্নের মুখে জেলের সুরক্ষা ব্যবস্থাও। বিশেষ করে সবার নজর এড়িয়ে কীভাবে উপ সংশোধনাগারে মধ্যে পৌঁছে গেল মোবাইল ফোন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে জেলে থেকে ওই ফোনের মাধ্যমে কাদের সঙ্গে কথা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ইতিমধ্যে নড়েচড়ে বসেছে পুলিশের আধিকারিকরা। জেলের মধ্যে নিরাপত্তা আরও বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৩ শে মার্চ উপ সংশোধনাগারে কর্তব্যরত কর্মীরা তল্লাশি চালায়। তারাই একটি ছোট্ট মোবাইল ফোন উদ্ধার করে। আর এরপরেই এই বিষয়ে জেলে বন্দিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়। দীর্ঘ এই জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় একটি খুনের ঘটনায় অমিত মণ্ডল ও রানা পণ্ডিত নামে দুই বিচারাধীন বন্দি এই ফোন লুকিয়ে ব্যবহার করতেন। শুধু তাই নয়, কথা হয়ে গেলে ফের ফোনটিকে লুকিয়ে রাখা হত বলে জানা গিয়েছে।

দিনের পর দিন জেলের মধ্যে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের নজর এড়িয়েই এই কাজ চলত বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে দুই বন্দির নামে পুলিশ প্রশাসনে অভিযোগ জানানো হয়েছে উপ সংশোধনাগারে সুপারের তরফে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কাটোয়া থানা তদন্তের জন্য দুই অভিযুক্ত বন্দিকে জেলের মধ্যেই শোন অ্যারেস্ট করে। ধৃত দুজনকে কাটোয়া আদালতে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করা হয়। বিচারক চার দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেছেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ধ্রুব দাস ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, কাটোয়া উপ-সংশোধনাগার থেকে একটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। দুই বন্দি সেগুলি ব্যবহার করতেন বলেও জানা গিয়েছে। তবে কোথায় ফোন করা হত কিংবা কীভাবে ফোন পেল তারা তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।