Potato Farming: আলুচাষিদের কপালে ভাঁজ, কিলোমিটারের পর কিলোমিটার জুড়ে শুধুই লাইন, দিন পেরিয়ে রাত হয়ে যাচ্ছে তবু…
Potato Farming: মূলত দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে শ্রমিকরা হিমঘরে আলুর কাজ করেন, তবে এখন স্থানীয় শ্রমিকরাই হিমঘরে আলু চেম্বার ঢোকানোর কাজ করছেন। দিনরাত পেরিয়ে যাচ্ছে হিমঘরে আলু ঢোকাতে।

বর্ধমান: হিমঘরে আলু রাখতে হিমসিম খেতে হচ্ছে কৃষকদের। হিমঘরে আলু রাখা নিয়ে রীতিমতো লড়াই চলছে। রাস্তা জুড়ে চোখে পড়ছে লম্বা লাইন। কোথাও ২ কিলোমিটার তো কোথাও আবার ৫ কিলোমিটার জুড়ে আলু বোঝাই ট্রাক্টরের লাইন। সবার অভিমুখ হিমঘরের দিকে। এত আলু কী হবে, বুঝে উঠতে পারছেন না অনেকে।
‘ওয়েস্ট বেঙ্গল কোল্ড স্টোরেজ অ্য়াসোশিয়েশনে’র গুসকরা ইউনিটের সভাপতি বনবিহারী ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এবছর আলুর ফলন খুব ভাল হয়েছে। বেশিরভাগ কৃষক মাদারসিড বীজ ব্যবহার করায় জমিতে ফলন খুব ভাল হয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে আলুর জমির পরিমাণ কম হলেও ওই মঙ্গলকোট,আউশগ্রাম ও ভাতারে আলু চাষের পরিমাণ বেশ ভাল।
গত বছরে এই তিন এলাকায় ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছিল। কিন্তু এবছর প্রায় ৭০ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। এছাড়া বাইরে আলু রফতানি হচ্ছে না। ফলে আলুর দাম পাওয়া যাচ্ছে না। মাঠেও এবার আলু কেনার লোক নেই। কৃষকরা সবাই হিমঘরে আলু রাখছেন। এতেই বেড়েছে জটিলতা।
হিমঘরের চাতাল থেকে চেম্বারে আলুর বস্তা ভরতে শ্রমিকের অভাব আছে বলে অভিযোগ। প্রয়োজন মতো শ্রমিকও মিলছে না। শ্রমিক পেতে সমস্যা হচ্ছে। মূলত দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে শ্রমিকরা হিমঘরে আলুর কাজ করেন, তবে এখন স্থানীয় শ্রমিকরাই হিমঘরে আলু চেম্বার ঢোকানোর কাজ করছেন। গোটা পূর্ব বর্ধমান জেলায় বর্তমানে হিমঘরের সংখ্যা ১০৫ টি। এর মধ্যে গুসকরার আশপাশেই আছে ১০টি হিমঘর।
এছাড়া জামালপুর, কালনা, বুলবুলি তলা, মেমারি ও বৈঁচিতে হিমঘর আছে। শুধুমাত্র গুসকরা এলাকার হিমঘরগুলিতে আলু রাখার পরিকাঠামো আছে ৪২ লক্ষ প্যাকেট। কৃষকরা জানিয়েছেন, রাত পেরিয়ে ভোর হয়ে যাচ্ছে হিমঘরে আলু রাখতে। ট্রাক্টর চালক শেখ সবুর বলেন, “২৪ ঘন্টা লেগে যাচ্ছে হিমঘরে আলু রাখতে। বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে আসতে হচ্ছে।”
কৃষক পার্থ দাস বলেন, “একবার হিমঘরে আলু রাখতে গেলে কবে বাড়ি ফিরব জানি না। দিনরাত লেগে যাচ্ছে। তবুও হিমঘরে আলু খালি করা যাচ্ছে না। খুবই সমস্যা। একই কথা বলেন আর এক কৃষক শঙ্কর মিত্র। তিনি বলেন, “মাঠে আলু কেনার লোক নেই। আবার দামও নেই। তাই আমরা সবাই হিমঘরে আলু রাখতে গিয়ে বেশ সমস্যায় পড়ে যাচ্ছি।”





