Gold Biscuit: রাস্তার ধারে পড়ে সোনার বিস্কুট, খবর ছড়াতেই হই হই কাণ্ড
Burdwan: সোমবার সকালে পুরসভার সামনে কর্মরত ছিলেন সিভিক ভলান্টিয়ার শেখ নাজির হোসেন। দেখেন, এক রিকশা চালক ও এক মহিলার মধ্যে বচসা হচ্ছে।
পূর্ব বর্ধমান: দিনে দুপুরে এক কাণ্ড বর্ধমান শহরে। সোমবার সকালে রটে যায় জিটি রোডের ধারে সোনার বিস্কুট পাওয়া গিয়েছে। আশপাশের লোকজন দেখতে ছোটেন সেই সোনার বিস্কুট। এক মহিলা নাকি পুঁটুলিতে ভরে ওই বিস্কুট নিয়ে যাচ্ছিলেন বর্ধমান পুরসভার সামনে দিয়ে। এলাকার রিকশা চালকের সঙ্গে মাঝপথে ঝামেলা বাধে। এরপরই পুঁটুলি ফেলে পালান তিনি। সেই বাঁধা কাপড় খুলতেই দেখা যায় সোনার বর্ণের বিস্কুট চকচক করছে। পরে সেই বিস্কুট উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান থানায়। যদিও পরে জানা যায়, সোনা নয় ও বিস্কুটে সোনার জল করা!
সোমবার সকালে পুরসভার সামনে কর্মরত ছিলেন সিভিক ভলান্টিয়ার শেখ নাজির হোসেন। দেখেন, এক রিকশা চালক ও এক মহিলার মধ্যে বচসা হচ্ছে। অভিযোগ, ওই মহিলার হাতে একটি কাপড়ের পুঁটুলি ছিল। সিভিক ভলান্টিয়ারকে এগিয়ে আসতে দেখেই ওই মহিলা এবং রিকশা চালক পালিয়ে যান। ফেলে যান পুঁটুলিটি। সিভিক ভলান্টিয়ার শেখ নাজিরও ওই দু’জনের পিছনে দৌড়ন। তবে ধরতে পারেননি।
এরপরই ফিরে এসে মুখ বাঁধা কাপড়ের কাপড়ের টুকরো খুলতেই চোখ কপালে ওঠে শেখ নাজিরের। দেখেন পুঁটুলির ভিতরে সোনার বিস্কুট চকচক করছে। সঙ্গে সঙ্গে বর্ধমান থানায় গোটা বিষয়টি জানান। ছুটে আসেন আশেপাশে থাকা লোকজনও। যদিও প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, সোনার বিস্কুট দেখে ওই রিকশা চালক ও মহিলাকে কিছু জিজ্ঞাসা করেননি সিভিক ভলান্টিয়ার। দু’জনকেই ছেড়ে দেন। তাই অত সহজে তাঁরা পালিয়ে যেতে পেরেছেন। অবশ্য শেখ নাজিরের দাবি, তিনি চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ধরতে পারেননি।
এরপরই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ট্রাফিক ওসি ও বর্ধমান থানার পুলিশ। উদ্ধার হওয়া সোনার বর্ণের বিস্কুট বর্ধমান থানার পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু করে। ভালভাবে খতিয়ে দেখে ওই বিস্কুট। পরে বর্ধমান থানার আইসি সুখময় চক্রবর্তী টেলিফোনে জানান, বিস্কুটটি সোনার নয়। অন্য কোনও ধাতুর উপর সোনার জল করা। কিন্তু ততক্ষণে সোনার বিস্কুট-উদ্ধার পর্ব ঘিরে হই হই পড়ে গিয়েছে বর্ধমান শহরে।
সিভিক ভলান্টিয়ার শেখ নাজির হোসেন বলেন, “আমি বার্থ সার্টিফিকেটের ফর্ম তুলতে পুরসভায় গিয়েছিলাম। দেখি এক মহিলা ছুটে আসছেন। আমিও ধেয়ে যাই। হাতে একটা কী ছিল। আমি দেখতে চাই। তখনই পালায়। আমি ওই মহিলাকে ধরার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু পালিয়ে যান ধরতে পারিনি। আমি একা ছিলাম। তাও স্টেশন অবধি গিয়েছি।”
শেখ পিন্টু নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, “আমরা পুরসভার উল্টোদিকে বসেছিলাম। হঠাৎ করে দেখি ভিড়। দেখি একজন মহিলা, একজন রিকশাওয়ালার সঙ্গে একজন সিভিক ভলান্টিয়ার কথা বলছে। কথা কাটাকাটি হচ্ছে। এরপরই আমরা সেখানে যাই। দেখি একটা সোনার বিস্কুটের মতো কী রয়েছে। এরপর ওসি ট্রাফিক আসেন। এরপর বর্ধমান থানাতেও খবর দেওয়া হয়।”
আরও পড়ুন: Sitalkuchi firing: শীতলকুচিকাণ্ডে মামলাকারীর বক্তব্যের বাস্তবতা নিয়ে প্রশ্ন আদালতে
আরও পড়ুন: Clash with Cops: ‘ধর্ষকদের গ্রেফতারি চাই’, দাবি উঠতেই খণ্ডযুদ্ধ পুলিশ-জনতার