Sitalkuchi firing: শীতলকুচিকাণ্ডে মামলাকারীর বক্তব্যের বাস্তবতা নিয়ে প্রশ্ন আদালতে
Sitalkuchi Case: প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশনাল বেঞ্চে সোমবার শীতলকুচি মামলার শুনানি ছিল।
কলকাতা: শীতলকুচিকাণ্ড (Shitalkhuchi Case) নিয়ে আগেই জোড়া জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কিন্তু এই মামলার প্রাসঙ্গিকতা কতটা, সোমবার আদালতে তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন অ্যাডিশনার সলিসিটর জেনারেল ওয়াই জে দস্তুর। তাঁর বক্তব্য, প্রকৃত তথ্য না জেনে আদালতকে বিভ্রান্ত করছেন মামলাকারী। এই মামলা না শুনে বাতিল করা উচিৎ। অন্যদিকে এদিনই আদালতে রাজ্যের আইনজীবী জানান, বিএসএফ এই তদন্তে সিআইডিকে সহযোগিতা করছে না। এই মামলার আগামী শুনানি ২৮ ফেব্রুয়ারি।
প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশনাল বেঞ্চে সোমবার শীতলকুচি মামলার শুনানি ছিল। সিওয়াইএসএফের হয়ে এদিন আদালতে সওয়াল করেন অ্যাডিশনার সলিসিটর জেনারেল ওয়াই জে দস্তুর। তিনি বলেন, বিধানসভা ভোটের দিন যে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনা নিয়ে যিনি মামলা করেছেন, সেই মামলাকারী ঘটনাস্থল থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে ছিলেন। এত দূরে বসে ঘটনার প্রকৃত তথ্য না জেনে আদালতকে মামলাকারী বিভ্রান্ত করছেন। আদালতের সময় নষ্ট হচ্ছে। তাই এই মামলা না শুনে অবিলম্বে তা খারিজ করে দেওয়া উচিৎ আদালতের।
অন্যদিকে রাজ্য সরকারের যিনি আইনজীবী এদিন আদালতে ছিলেন সেই নীলোৎপল চট্টোপাধ্যায় বলেন এই মামলার তদন্তে বিএসএফ আধিকারিকরা সিআইডির সঙ্গে সহযোগিতা করছেন না। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি অ্যাডিশনার সলিসিটর জেনারেলের বক্তব্য নিয়ে মামলাকারীদের যদি কিছু আপত্তি থাকে সেটাও জানাতে বলা হয়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি ফের এই মামলার শুনানি হবে।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোট ছিল সেদিন। শীতলকুচির বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ ওঠে। রাত থেকে কড়া পাহারা ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর। ছিল পুলিশের নজরদারিও। এমনকী তৎপর ছিল নির্বাচন কমিশনও। তারপরেও রোখা সম্ভব হয়নি হিংসা। ভোটের দিন সকালেই পাঠানটুলিতে আনন্দ বর্মন নামে ২৩ বছরের এক যুবকের মৃত্যু হয়। তার ঘণ্টা খানেকের মধ্যে খবর আসে মাথাভাঙা ও শীতলকুচির মধ্যবর্তী এলাকা জোরপাটকিতে গুলি চালায় সিআইএসএফ। তাতে চার জনের মৃত্যু হয়। ঘটনার গোটা বাংলায় শোরগোল পড়ে যায়।
এই প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় জোড়া জনস্বার্থ মামলা। সেই মামলার শুনানি পর্বে আগেই কেন্দ্র ও রাজ্যকে হলফনামা দিতে বলেছিল আদালত। রাজ্যকে হলফনামায় তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করতে বলা হয়। অন্যদিকে কেন্দ্রের কাছে হলফনামায় জানতে চাওয়া হয় সিআইএসএফ কীভাবে, কোন পরিস্থিতিতে গুলি চালিয়েছিল। তার কার্যকারণ বিস্তারিত ব্যাখ্যা চাওয়া হয় কেন্দ্রের হলফনামায়।
আরও পড়ুন: জ্বলছিল একের পর এক ঝুপড়ি, বের হতে পারেনি ওরা, ঘরেই ঝলসে শেষ খুদে প্রাণগুলো