Clash with Cops: ‘ধর্ষকদের গ্রেফতারি চাই’, দাবি উঠতেই খণ্ডযুদ্ধ পুলিশ-জনতার
Coochbehar: সোমবার সকালে জনতা পুলিশ সংঘর্ষকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কোচবিহারের ঘুঘুমারি।
কোচবিহার: জনতা-পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ ঘিরে কোচবিহারের ঘুঘুমারিতে ধুন্ধুমারকাণ্ড। ধর্ষণে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে অবরোধ ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় সোমবার। অভিযোগ, ঘুঘুমারিতে এই অবরোধ তুলতে গেলে বাধার মুখে পড়ে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু করে উত্তেজিত জনতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ পাল্টা কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে বলে অভিযোগ।
সোমবার সকালে জনতা পুলিশ সংঘর্ষকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কোচবিহারের ঘুঘুমারি। এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল কিছুদিন আগে। মূল অপরাধীদের এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি বলে দাবি এলাকার লোকজনের। পুলিশকে জানিয়েও কাজ হয়নি বলে দাবি করেন তাঁরা। এরপরই এদিন স্থানীয় বাসিন্দারা পথঅবরোধ কর্মসূচি নেন। তাঁদের দাবি, যতক্ষণ না পর্যন্ত অপরাধীদের ধরা হচ্ছে, ততক্ষণ তাঁরা নিজেদের অবস্থান থেকে সরবেন না।
এদিকে রাস্তা অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় কোতোয়ালি থানার পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশের দাবি, পুলিশ এসে অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য বলেন। তারা এমনও আশ্বাস দেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দোষীদের গ্রেফতার করা হবে। যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু অবরোধকারীরা তা শুনে রাজি হননি। পাল্টা অবরোধকারীদের দাবি, তাঁরা কয়েকদিন আগেই থানায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন কোনও পদক্ষেপই করেনি। পুলিশের ভূমিকা নিষ্ক্রিয়, এমনই অভিযোগ তুলে তাঁরা এদিন পথে নামেন। একইসঙ্গে জানিয়ে দেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত অপরাধীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে তারা অবরোধ তুলবেন না।
অভিযোগ, এরপরই বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে কোতোয়ালি থানার আইসি ঘটনাস্থলে পৌঁছন। অভিযোগ, পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। পাল্টা পুলিশও লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে, লাঠিচার্জও করে বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠলে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। পুলিশের বক্তব্য, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটাতে হয়। যদিও এখনও এলাকা থমথমে। অপরাধীদের গ্রেফতার করতেই হবে, দাবিতে অনড় স্থানীয়রা।
স্থানীয় এক বাসিন্দা ওসমান জানান, “চারদিন আগে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। সে বিষয়ে কোনও পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি। যেখানে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে লাইনের ধারে মাঠ এলাকা। এখানে কোনও আলো নেই। রাত হলেই একেবারে নিঝুম চারপাশ হয়ে যায়। সকলের ঘরেই তো মা আছে, বোন আছে। কীভাবে তাঁরা রাতে বেরোবেন এলাকায়? মেয়েরাই যদি সুরক্ষিত না হয় তা হলে আর কী বলার আছে। পুলিশেরও গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টা দেখা দরকার।”
আরও পড়ুন: Kolkata Fire: জ্বলছিল একের পর এক ঝুপড়ি, বের হতে পারেনি ওরা, ঘরেই ঝলসে শেষ খুদে প্রাণগুলো