TMC Leader: ‘টেংরিটা কেটে হাতে ধরিয়ে দেব’, হুঙ্কার দিয়ে বিতর্কে তৃণমূল নেতা
TMC Leader: দিন দুয়েক আগেই জনগর্জন সভার প্রস্তুতির জন্য পূর্ব বর্ধমানের সদর ১ নং ব্লকে একটি সভা ডাকা হয়েছিল। সেখানেই অন্যান্য স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বক্তব্য রাখছিলেন জামাল। সেখানেই একশোদিনের বঞ্চনা নিয়ে সুর চড়াতে গিয়ে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন।
রায়না: লোকসভা ভোট (Lok Sabha Election) যতই এগিয়ে আসছে ততই যেন উত্তাপ বাড়ছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। শুরু হয়ে গিয়েছে দলবদলের খেলাও। ইতিমধ্যেই বিজেপির হয়ে ভোট প্রচারে ঝড় তুলতে দফায় দফায় বাংলায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মাটি ছাড়তে নারাজ তৃণমূলও। ফের ১০ মার্চ ব্রিগেডে বড় সভার ডাক দিয়েছে তৃণমূল। দিকে দিকে চলছে প্রস্তুতি সভা। সেই সভা থেকেই বিজেপির উদ্দেশ্যে বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা গেল রায়না ১ অঞ্চল সভাপতি শেখ জামাল। তা নিয়ে পূর্ব বর্ধমানের রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক শোরগোল। সেই ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল সোশ্য়াল মিডিয়ায়।
প্রসঙ্গত, দিন দুয়েক আগেই জনগর্জন সভার প্রস্তুতির জন্য পূর্ব বর্ধমানের সদর ১ নং ব্লকে একটি সভা ডাকা হয়েছিল। সেখানেই অন্যান্য লোকাল নেতাদের সঙ্গে বক্তব্য রাখছিলেন জামাল। সেখানেই একশোদিনের বঞ্চনা নিয়ে সুর চড়াতে গিয়ে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন। বলেন, “ঝান্ডা নিয়ে যখনই আসবে তখনই পোলে বেঁধে রেখে আমাদের খবর দেবে। আমি যা বলছি তা করে দেখাই। যে ক’টা বিজেপির চামচা আছে, অর্ডার পেলে ২ ঘণ্টা সময় নেব ট্যাংরা গুটোনো করে গুটিয়ে দেব। ১০০ দিনের টাকা না দিলে টেংরিটা কেটে হাতে ধরিয়ে দেব।”
তাঁর এ মন্তব্য নিয়েই উঠেছে বিতর্কের ঝড়। অস্বস্তি বেড়েছে খোদ শাসকদলের। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলছেন, “উনি কী বলেছেন তা জানি না। এ জাতীয় কথা দল অনুমোদন করে না।” তবে একশোদিনের কাজের টাকা নিয়ে মানুষের ক্ষোভের কথা শোনা গেল তাঁর মুখে। এটাও বলেও ফের একবার দলের অবস্থান স্পষ্ট করে তিনি বলেন, “ক্ষোভ থাকলেও এই ধরনের কথা দল অনুমোদন করে না।”
পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছে পদ্ম শিবির। কড়া আক্রমণ শানিয়ে বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, এই হুমকি, এ ভাষা কখনওই গণতন্ত্রে কাম্য নয়। ওর কথা শুনে যে সব নেতারা হাততালি দিচ্ছেল তাঁরাও একই দোষে দোষী। তাঁর দাবি, পুলিশের মদত না থাকলে এ ধরনের কথা বলা যায়। একইসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে আরও সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, কে কার টেংরি খুলে নেবে তা জনগণ ঠিক করবে।